Madrasa Teacher: আল্লাকে ‘খুশি’ করতে হবে, কেরলের মাদ্রাসা শিক্ষিকা কেটে ফেললেন ছেলের গলা
কিন্তু সত্যিই আল্লাকে খুশি করতে এই খুন না অন্য কিছু, তা জানা যাবে ঘটনার বিশদ তদন্তের পর। সাহিদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
তিরুঅনন্তপুরম: কেরলের পালাক্কড়ে ৩০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষিকা নিজের ৬ বছরের ছেলেকে গলা কেটে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। গতকাল তাদের নিজেদের বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা।
অভিযুক্তের নাম সাহিদা। তিন সন্তানের মা সাহিদা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ান, আবার মা হতে চলেছেন তিনি, ৩ মাসের গর্ভবতী। গতকাল ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে তিনি পালাক্কড়ের এমার্জেন্সি কন্ট্রোল রুমে ফোন করে স্থানীয় পুলিশকে জানান, আল্লাকে খুশি করতে নিজের ছেলে আমিলকে মেরে ফেলেছেন তিনি। পুলিশের একটি দল তাঁর বাড়ি এসে পৌঁছে দেখে, তিনি তাদের জন্য বাড়ির দরজায় অপেক্ষা করছেন। দরজা থেকে সাহিদা তাদের ভেতরে নিয়ে আসেন, তাঁর হাতে লেগেছিল রক্ত, একাধিক আঘাতের চিহ্নও ছিল। পুলিশ মৃত শিশুটির দেহ খুঁজে পায় বাথরুমের মধ্যে, সে রক্তে ভাসছিল। তার গলার নলি কাটা ছিল আর দুই পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা।
পালাক্কড়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (SP) আর বিশ্বনাথ জানিয়েছেন, সাহিদা পুলিশকে যা যা বলেছেন, তাই এফআইআরে লেখা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, আল্লাকে সন্তুষ্ট করতে এভাবে নিজের ছেলেকে খুন করেছেন তিনি। কিন্তু সত্যিই আল্লাকে খুশি করতে এই খুন না অন্য কিছু, তা জানা যাবে ঘটনার বিশদ তদন্তের পর। সাহিদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
ঘটনার সময় সাহিদার স্বামী সুলেমান ও তাঁদের অন্য দুই সন্তান অন্য একটি শোওয়ার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। এই খুনের ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। সাহিদার স্বামী সুলেমান আগে মধ্য প্রাচ্যে চাকরি করতেন, পালাক্কড়ে ফিরে আসার পর থেকে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন নির্বাহ করেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁদের একজনের কাছ থেকে আগের দিনই পুলিশ স্টেশনের ফোন নম্বর জোগাড় করেন সাহিদা। তাঁদের বক্তব্য, পরিবারটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল না, তেমন কোনও সমস্যা ছিল না তাদের।
সাহিদার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।