ফুলবাগানকাণ্ডে ঘনীভূত রহস্য, মিলেছে মৃত যুবকের পরিচয়, খুন নাকি দুর্ঘটনা? ধন্দে পুলিশ
সোমবার ফুলবাগানে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতের নাম সঞ্জিৎ দাস। তিনি দত্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ফুলবাগান স্টেশনের কাছে, রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে রহস্য এখনও কাটল না। যুবকের মৃত্যু কি গুলিতে? নাকি মারধরে? এসব প্রশ্নের উত্তর না মেলায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি খুনের ঘটনা ৷
সোমবার ফুলবাগানে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতের নাম সঞ্জিৎ দাস। তিনি দত্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা। যে জায়গায় যুবকের মৃতদেহ মিলেছে, সেখানে গাড়ি চলাচল করে না। ফলে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। মৃতদেহ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। মৃতের পরিবারও খুনের অভিযোগ করেছে। তাঁদের দাবি, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সঞ্জিৎ। রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ইঁট বা পাথর দিয়ে থেঁতলে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সঞ্জিতের জ্যাকেট তাঁর গায়ে ছিল না। জ্যাকেটটি মৃতদেহের উপরে ফেলে দিয়ে যায় আততায়ী। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা, ফুলবাগান থানার পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর, রক্তাক্ত ওই যুবকের মাথার পিছনে গভীর ক্ষত রয়েছে । অন্যদিকে গত শুক্রবার বৌবাজারের ফিয়ার্স লেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম আয়ুব ফিদা আলি খান। বয়স প্রায় ৭৫ বছর। এর মাথার পিছনেও গভীর ক্ষত ছিল বলে খবর। ঘরের চারিদিকে ছিল চাপচাপ রক্ত। ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা একটি ছুরি। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ।