Ration Scam: রেশন 'দুর্নীতি'তে ধৃত বাকিবুর রহমানের ১২দিনের ইডি হেফাজত
ইডি দাবি করেছে, বাকিবুরের রাইস মিলে মিলেছে সরকারি দফতরের ১০৯টি স্ট্যাম্প। পাশাপাশি সাড়ে ৫০ কোটির বেশি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
![Ration Scam: রেশন 'দুর্নীতি'তে ধৃত বাকিবুর রহমানের ১২দিনের ইডি হেফাজত 12-day ED custody of Bakibur Rahman caught in ration 'corruption' Ration Scam: রেশন 'দুর্নীতি'তে ধৃত বাকিবুর রহমানের ১২দিনের ইডি হেফাজত](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/10/16/2ddfced874866f1257e50c42843b9f9e169746139550951_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: রেশন 'দুর্নীতি'তে ধৃত বাকিবুর রহমানের ১২দিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ। এদিনের শুনানিতে ইডি দাবি করেছে, বাকিবুরের রাইস মিলে মিলেছে সরকারি দফতরের ১০৯টি স্ট্যাম্প। পাশাপাশি সাড়ে ৫০ কোটির বেশি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি ইডির।
কোটি কোটি বেশি টাকার রেশন দুর্নীতি: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটির বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ED।এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডেও উঠে এল সেই একই পরিমাণ টাকার অঙ্ক।৫০ কোটি ৫০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫০ টাকা। ED সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডেও খোঁজ মিলেছে সেরকম একাধিক ভুয়ো কোম্পানির। যে সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা, সাদা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে আরও দাবি, ইতিমধ্যে বাকিবুরের ৬টি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে তারা। যেখানে আটা বন্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে।যার মধ্যে NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেডে ঢুকেছে - ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা। রুদ্রাক্ষ ব্যাপার প্রাইভেট লিমিটেডে ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা, গুডলাইফ ডিলারস প্রাইভেট লিমিটেডে ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ১০০ টাকা, ইউনিকন কমোডিল প্রাইভেট লিমিটেডে ১১ কোটি ৬৭ লক্ষ ১১ হাজার ১০০ টাকা, জ্যাকি ক্লথিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ত্রিমূর্তি ইনফ্রা ডেভলপার্স প্রাইভেট লিমিটেডে ১৪ কোটি ১৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫০ টাকা এবং কানাইয়া নির্মাণ প্রাইভেট লিমিটেডে ৩ কোটি ১০ লক্ষ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ঢুকেছে। সব মিলিয়ে অঙ্কটা ৫০ কোটি ৫০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫০ টাকা।ED সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাকিবুরের মতো মিল মালিক থেকে Public Distribution System বা PDS ডিস্ট্রিবিউটার, PDS ডিলার এবং অন্যান্য আরও কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে দুর্নীতির টাকা ভাগ হয়েছিল। রেশন দুর্নীতি মামলায় আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে বলেও সোমবার আদালতে দাবি করে ED।
রেশন দুর্নীতির তদন্ত প্রথম শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশ।২০২০, ২১ ও ২২ সালে নদিয়ার ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় তিনটে FIR করে পুলিশ।২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় FIR দায়ের হয়।সেই FIR-এর ভিত্তিতেই ২০২২ সালে ED ECIR দায়ের করে। পাশাপাশি এই কয়েক বছরে, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি আটা, পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে বলেও ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: WB Dengue: আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার পার, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)