Child Labour Death: নদীঘাট থেকে বালি, পাথর তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শিশু শ্রমিকের
Siliguri News: স্থানীয়দের দাবি, এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের অন্ধকারে চলছে বালি, পাথর তোলা। গতকাল গভীর রাতে সেই কাজ করতে গিয়েই নদীর পাড়ে ধসে চাপা পড়ে ৩ শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: রাতের অন্ধকারে নদীঘাট থেকে বালি, পাথর তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৩ শিশু শ্রমিকের। আহত আরও এক নাবালক। আজ শেষরাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়।
জানুয়ারি মাস থেকে বালাসন নদীর ঘাট থেকে বালি, পাথর তোলা বন্ধ। স্থানীয়দের দাবি, এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতের অন্ধকারে চলছে বালি, পাথর তোলা। গতকাল গভীর রাতে সেই কাজ করতে গিয়েই নদীর পাড়ে ধসে চাপা পড়ে ৩ শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মৃতদের বয়স ১৩-১৪-র মধ্যে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন।
কিছুদিন আগে অন্ডালে ইসিএলের কয়লা খনি অঞ্চলে ফিরেছে ধসের আতঙ্ক। অন্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোড়াপাড়ায় পরিত্যক্ত খনির কাছেই ধস নামে। খনি থেকে জল বের করার জন্য পাম্প চালাতেই বিপত্তি, এই অভিযোগ তুলে অস্থায়ী পাম্প হাউসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। যদিও এ নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বুধবার সকালে, পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোয়াপাড়ায় পরিত্য়ক্ত একটি কয়লা খনির কাছে ধস নামে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, দক্ষিণ কলকাতার শপিং কমপ্লেক্স দক্ষিণাপণে আগুন, আতঙ্কে ক্রেতারা
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় ওই কয়লা খনি।সম্প্রতি এই কয়লাখনি থেকে পাম্পের মাধ্য়মে জল বের করছিল ECL। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই পাম্পের জন্য়ই এলাকায় ধস নেমেছে। পাম্প হাইজে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা। পশ্চিম বর্ধমানের কোলিয়ারি এলাকায় মাঝেমধ্যেই ধস নামে।
তবে, বারংবার এই ধস কোনও অশনি সঙ্কেত নয়তো!
সম্প্রতি এমন আশঙ্কাপ্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি জোশীমঠে। আগে বন্দোবস্ত করলে এই দিন দেখতে হত না। একই অবস্থা রানিগঞ্জে।' যদিও এই ধস নিয়ে মুখ খোলেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।