Adeno Virus: বি সি রায় হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ শিশুর মৃত্য়ু
এ দিন সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি আরও ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে একজন জয়নগরের বাসিন্দা, বয়স ৩ মাস।
কলকাতা: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই ফের বি সি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ শিশুর মৃত্য়ু হল। রবিবার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাসনের বাসিন্দা ১১ মাসের শিশুকে (Child Death)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তার। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো (Adeno Virus) সংক্রমণের উল্লেখ রয়েছে।
এ দিন সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি আরও ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে একজন জয়নগরের বাসিন্দা, বয়স ৩ মাস। অন্যজন নারায়ণপুরের বাসিন্দা, বয়স ৩ বছর। এই দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দুপুরে মৃত্যুর জানানো হলেও রাত সাড়ে আটটা অবধি দেহ দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। পুলিশ হস্তক্ষেপে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৫ জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বিকল: উল্লেখ্য, অ্যাডিনো উদ্বেগের মধ্যেই বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ভেন্টিলেটর বিকল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বিরাটির বাসিন্দা ৬ মাসের এক শিশু। মঙ্গলবার থেকে ভেন্টিলেটর ছিল সে।পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে সেই ভেন্টিলেটরটি বিকল হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, এরপর নতুন ভেন্টিলেটর আনা অবধি একটি বিশেষ পদ্ধতিতে শিশুকে স্থিতিশীল রাখেন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিরামহীন ব্যবহারের ফলে ভেন্টিলেটরে বিভ্রাটের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৬ জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
অ্যাডিনো-উদ্বেগের মধ্যেই বি সি রায় শিশু হাসপাতালে বেড না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে একাধিকবার। অভিযোগ, আইসিইউ বেড খালি না থাকায়, আজ সকালে রাজারহাট থেকে আসা ৩ মাসের শিশুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
অন্যদিকে, প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও রক্ত জোগাড় করা যায়নি বলে অভিযোগ করে বনগাঁর একটি পরিবার। পরিবারের দাবি, ৮ দিনের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত, রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ১১টা থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরেও রক্ত মেলেনি। রক্ত জোগাড় করতে না পেরে অসুস্থ শিশুকে ফের বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।