West Midnapore: বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু তিন বছরের শিশুকন্যার, শালবনির ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়
West Midnapore: সোমবার রাত্রে তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন মা সোমা ভুঁইয়া ও বাবা সুনীল ভুঁইয়া। রাতভর একটানা বৃষ্টির ফলে হঠাৎই ভোরের দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি।
অলোক সাঁতরা, শালবনি (পশ্চিম মেদিনীপুর): লাগাতার বৃষ্টির ফলে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে গোটা রাজ্য জুড়ে। রাতভর বৃষ্টির ফলে বাড়ি ভেঙে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক তিন বছরের শিশু কন্যার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শালবনি থানার বুড়িশোল গ্রামে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই শিশু কন্যার অন্তঃসত্ত্বা মা ও বাবা।
সোমবার রাত্রে তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন মা সোমা ভুঁইয়া ও বাবা সুনীল ভুঁইয়া। রাতভর একটানা বৃষ্টির ফলে হঠাৎই ভোরের দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি। দেওয়াল চাপা পড়েন তিনজনই। এরপর তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁদের উদ্ধার করে এলাকার লোকজন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকেরা তিন বছরের কন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
অন্যদিকে, খড়দার পাতুলিয়ায় আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। ঘরের মধ্যে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তিনজনের।
মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্ত্রী, মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ছেলে। পরিবারে একমাত্র বেঁচে ৪ বছরের ছোট ছেলে।
খড়দার পাতুলিয়ার একটি আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-মা ও তাঁদের দশ বছরের সন্তানের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পরিবারে একমাত্র ৪ বছরের ছোট ছেলে বেঁচে রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, ঘরে জল জমে ছিল। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রীও। বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দশ বছরের বড় ছেলেও।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের বলরাম সেবামন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: Hooghly: চন্দননগরে গ্রাহক সেজে স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় ডাকাতি ৭ সশস্ত্র দুষ্কৃতীর, পাকড়াও ৩
আরও পড়ুন: Purulia: পুরুলিয়ায় শরীরে সূচ ঢুকিয়ে শিশু খুনের মামলায় মা ও মায়ের প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত