(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Adhir Ranjan Chowdhury : 'বাংলা হাথরসে পরিণত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণকারীদের ওকালতি করছেন’ হাঁসখালিকাণ্ডে আক্রমণ অধীর চৌধুরীর
Adhir Ranjan Chowdhury attacks Mamata Banerjee on Hanskhali Incident : অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আজ ধর্ষণকারীদের উকিল হয়েছেন কেন? খুনিদের ওকালতি করছেন কেন?'
কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ড (Hanshkhali Incident) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চড়া সুরে আক্রমণ শানালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি হাঁসখালির ঘটনার সঙ্গে হাথরাসের ঘটনার তুলনা টানলেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ধর্ষণকারীদের ওকালতি করছেন বলেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
কী বলেছেন অধীর চৌধুরী
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁসখালিকাণ্ডে নিয়ে বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছেন, 'বাংলা হাথরস হয়ে গিয়েছে। চাইল্ড লাইন না থাকলে তো এই ঘটনার কথা জানাই যেত না। এরকম কত ধর্ষণ, কত হত্যা রাজ্যে হচ্ছে জানি না। এরকম কত শ্মশান আছে, যেখানে না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, জানি না।' পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে অধীর চৌধুরীর সংযোজন, 'ওই নাবালিকা কি এ রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের তালিকায় পড়ে না? মুখ্যমন্ত্রী কেন ধর্ষণকারীদের ওকালতি করছেন কেন? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আজ ধর্ষণকারীদের উকিল হয়েছেন কেন? খুনিদের ওকালতি করছেন কেন? এগুলোই আপনার কাছে আমাদের প্রশ্ন।'
হাঁসখালিকাণ্ডে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল কিনা, দেখতে হবে। শুনেছি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’ পাশাপাশি ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ‘তৃণমূলকে টানার কী দরকার? সবাই তো তৃণমূল। ছেলেটার বাবা তৃণমূল করে তো কি হয়েছে, রং না দেখে গ্রেফতার হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'ঘটনাটা খারাপ, কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রথমেই কেন থানায় রিপোর্ট করা হয়নি? না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পরে কেসটা কি ছিল, সেটা আমরা জানাব।'
কী ঘটেছে হাঁসখালিতে
নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল যা শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন- ‘না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন?’ হাঁসখালিকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর