Kolkata Adivasi Rally: হাওড়া থেকে আদিবাসীদের লম্বা মিছিল, অবরুদ্ধ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট, নাকাল যাত্রীরা
Kolkata Traffic Jam: কলকাতার রাজপথে আদিবাসীদের মিছিল, অফিসটাইমে তীব্র যানজট, ট্রাফিক অব্যবস্থার অভিযোগ।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সুনীত হালদার, হাওড়া: আদিবাসীদের ( Adivasi ) মিছিল। পতাকা, ব্যানার হাতে প্রতিবাদী মানুষেরা। আর তারই জেরে অফিস টাইমে ভয়ঙ্কর যানজট ( Traffic Jam ) । হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে সাপের মতো গাড়ির লাইন। বহুক্ষণ ঘুরছেই না চাকা। কাজের দিনে অফিস যাওয়ার পথে, আটকা পড়েছেন বহু অফিসযাত্রী। ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে পারবেন না সে তো বুঝেই গিয়েছেন, কিন্তু আদৌ কখন পৌঁছবেন অফিস, এই চিন্তাতেই অধৈর্য হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা।
কী কারণে এই প্রতিবাদ ? আদিবাসীদের উপর দমন পীড়নের অভিযোগ তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে আদিবাসীদের উচ্ছেদ এবং কুড়মি ও মাহাতোদের এসসি মর্যাদা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভার ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন।। সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসীরা হাওড়া স্টেশনে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল করে রানি রামসণি অ্য়াভিনিউয়ের দিকে রওনা হন তাঁরা। হাওড়া থেকে স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ড রোড হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে এগিয়ে যাবে মিছিল। তাই কার্যত কলকাতার প্রাণকেন্দ্রই অবরুদ্ধ। বিপাকে হাওয়া থেকে কলকাতায় কাজ করতে আসা মানুষজন। ধর্মতলাগামী প্রতিটি রাস্তাই আটকে গাড়ির জটে। চাকা ঘোরার অপেক্ষায় অনেকে বাসে বা গাড়িতে অপেক্ষারত, আবার অনেকেই সে-সবের তোয়াক্কা না করে হাঁটতে শুরু করেছেন।
প্রবল যানজট: এই মিছিলের জেরেই হাওড়া স্টেশন থেকে স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোডে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গাড়ি চলাচল। বহুক্ষণ একই চাকায় দাঁড়িয়ে গাড়ি। প্রবল যানজটের জেরে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে মানুষ। যে রুট দিয়েই যাচ্ছে, সেখানে আটকে পড়েছে গাড়ির পর গাড়ি। অনেকেরই প্রশ্ন, এত বড় মিছিল থাকা সত্ত্বেও কলকাতার ট্রাফিক পুলিশের তরফে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন । মিছিলের শেষ কোথায় কার্যত দেখা যাচ্ছে না। তাই যানজট সহজে কাটবে না বলেই আশঙ্কা। ফলে হাওড়া ব্রিজ ব্যবহার করে যাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে হয় বা ফিরতে হয়, তাঁদের দুর্ভোগের সীমা নেই।
হাওড়া থেকে সব রাস্তাই অবরুদ্ধ। এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় ধরা পড়ল, রাজপথ থেকে অলিগলি সব জায়গাতেই প্রচণ্ড যানজট। আটকে বাসের পর বাস। এই দুর্ভোগ এড়াতে অনেকে ফেরি করে গঙ্গা পেরিয়ে অফিস যাওয়াচ চেষ্টা করছেন। সেখানেও বাড়াবাড়ি রকমের ভিড়। বেদম ভিড় প্রতিটি লঞ্চে। তাই যে কোনও মুহূর্তে অপ্রীতিকর কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন :