Dhaniram Toto : টোটো বর্নমালা রচনায় অসামান্য অবদান, পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ধনীরাম টোটো
টোটো জনজাতির উন্নতি এবং শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানই আশা করেন এবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচিত পদ্মশ্রী প্রাপক ধনীরাম টোটো।
আলিপুরদুয়ার: টোটো জনজাতির (TOTO Tribe) উন্নতি এবং শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানই আশা করেন এবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচিত পদ্মশ্রী প্রাপক ধনীরাম টোটো। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের টোটোপারার বাসিন্দা ধনিরাম টোটো। টোটো হরফ ও অক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে এবছর পদ্মশ্রী পুরষ্কার পাচ্ছেন টোটো সাহিত্যিক ধনিরাম টোটো।
'পদ্মশ্রী' পুরষ্কার পেতে চলেছেন ধনীরাম টোটো
চলতি বছরে পদ্মশ্রী পুরষ্কার পাচ্ছেন টোটো সাহিত্যিক ধনিরাম টোটো। যদিও এই বিষয়ে তার হাতে সরকারি চিঠি এখনও এসে পৌঁছয়নি। প্রায় ৫৭ বছরের ধনিরাম, একদমই মাটির মানুষ। মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনতেন যে, যদি পৃথিবীর সব জনজাতির পৃথক অক্ষর ও ভাষা থাকতে পারে, তবে টোটোরা কেন বঞ্চিত হবে ? চেয়েছিলেন নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে। রেডিও-তে বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী রুনা লায়লার একটি গানের লাইন তাকে টোটো বর্নমালা তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন বলে জানান তিনি।
ছয় মাসের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে টোটো বর্নমালা রচনা
শেষ অবধি করেও দেখিয়েছেন ধনীরাম টোটো। ছয় মাসের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে টোটো বর্নমালা রচনা করেছেন তিনি। সঙ্গে টোটো সাহিত্যে প্রচুর কবিতা, উপন্যাস ও রম্যরচনা সৃষ্টি করে টোটো সমাজে নিজেকে খানিক অন্য উপমায় প্রতিস্থাপন করেছেন আত্মভোলা গোছের মানুষটি। সাহিত্যিক ধনিরামের লেখা, টোটো জনজাতির রাখাল বালকের সঙ্গে ভিন্ন জনজাতির একটি প্রেমের গল্প নিয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে একটি উপন্যাস। যা কালজয়ী হবে বলেই ধারণা তাঁর।
আরও পড়ুন, 'নিজের জেলায় কতজনকে চাকরি দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন ?', শুভেন্দুর পাল্টা শান্তনু
একমাত্র ছেলে টোটো জনজাতির প্রথম এমএ পাস, তবুও বেকার
তবে, তিনি নিজের জন্য কিছুই চাননা। একমাত্র ছেলে টোটো জনজাতির প্রথম এমএ পাস। তবুও বেকার। ফলে, তিনি টোটো জনজাতির আরো উন্নতি যেমন আশা করেন, তেমনি শিক্ষিত টোটো জনজাতির কর্মসংস্থান হোক সরকারি তরফে তেমনটাই চান পদ্মশ্রী পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত ধনীরাম টোটো। সরকারিভাবে না হলেও, একটি সূত্র থেকে তাকে ফোনে বলা হয়েছে, তিনি এ বছর পদ্মশ্রী পাচ্ছেনই। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যান দফতরে কর্মরত ধনীরাম টোটো জানান, মাস খানেক আগে দিল্লি থেকে ফোন করে তার কাছে, ‘বায়োডাটা’ চাওয়া হয়েছিল। তার দপ্তরের জেলা আধিকারিকরাও বায়োডাটা পাঠাতে বলেছিলেন। তাই পাঠিয়েছিলেন বলে জানা যায়।