Alipurduar News: গরমের ছুটির মধ্যেই পরীক্ষা স্কুলে, অভিভাবকদের আবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত, দাবি কর্তৃপক্ষের
অসহ্য গরমের কারণে স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Summer Vacation) এগিয়ে এনেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Governmnet)। ২ মে থেকে তা কার্যকর হয়েছে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত।
অরিন্দম সেন ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আলিপুরদুয়ার: গরমের ছুটির (Summer Vacation) মধ্যেই পরীক্ষা হল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পাঁচকোলগুড়ি প্রমোদিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের বক্তব্য, আগে পরীক্ষা হোক- এটাই চেয়েছিল সবাই। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকদের আবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন এমন হল দেখা হচ্ছে, জানালেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (District School Inspector)।
অসহ্য গরমের কারণে স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Summer Vacation) এগিয়ে এনেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Governmnet)। ২ মে থেকে তা কার্যকর হয়েছে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। তবে করোনাকালে (Corona) প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর, ফের সশরীরে ক্লাস চালু হতে না হতে, দেড় মাস স্কুল বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই জেলার কয়েকটি স্কুলে পরীক্ষাও (School Exam) হয়েছে। পরীক্ষা চলছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পাঁচকোলগুড়ি প্রমোদিনী উচ্চ বিদ্যালয়েও। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।
এক অভিভাবকের কথায়, “দীর্ঘদিন ক্লাস হয়নি, ছাত্র-ছাত্রীরা চায় পড়াশোনা করতে, পড়াশোনা থেকে যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় তাই পরীক্ষার আবেদন করেছিলাম।’’ প্রধান শিক্ষকের (Principal) দাবি, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। পাঁচকোলগুড়ি প্রমোদিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের (Panchkolguri Promodini High School) প্রধান শিক্ষক সুদর্শন চক্রবর্তী বলেন, “ছুটি ঘোষণার আগে পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হয়, পড়ুয়ারা লিখিত আবেদন করে পরীক্ষার জন্য, ৩০ তারিখ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেইমতো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।’’
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশানুল করিম বলেন, “পরীক্ষার জন্য কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, পরীক্ষা চেয়ে আমার কাছেও আবেদন এসেছে, এনিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ সব মিলিয়ে গরমের ছুটির আবহে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: School Summer Vacation: অফলাইন ক্লাস বন্ধের সরকারি নির্দেশিকায় ক্ষোভ অভিভাবকদের একাংশে