Railway Employee: রেলকর্মীর গলা কেটে খুন, লাইনে পড়ে রইল রক্তাক্ত দেহ
রেলের আরপিএফ এবং জিআরপি ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে রেলকর্মীর দেহ। জানা যায়, নলিকাটা দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: রেলগেটে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন এক রেলকর্মী। সেই সময়ই গলা কেটে খুন হতে হল ওই কর্মীকে। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শুধু তাই নয়, রেলকর্মীর খুনে রেলের নিরাপত্তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
জানা যায়, আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শামুকতলা মাঝে এসকে ১১১ নং রেলগেটে বুধবার রাতে কর্তব্যরত ছিল গেটম্যান তাপস মল্লিক (৪০)। রেল ট্র্যাকে পেট্রলিংরত কর্মীরা দেখতে পায় এসকে ১১১ নং গেট থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাপস মল্লিক। এমন ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তারপর খবর দেওয়া হয় রেল কর্তৃপক্ষকে।
রেলের আরপিএফ এবং জিআরপি ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে রেলকর্মীর দেহ। জানা যায়, নলিকাটা দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পুরো রেলট্র্যাকে ছিল তাজা রক্তের ছাপ স্পষ্ট। এমনকী রেলগেটের অফিস ঘরেও ধস্তাধস্তির ছবি স্পষ্ট বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সারা ঘরেও রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে জানান হয়েছে।
রেলপুলিশের অনুমান, রেলগেটের অফিসেই তার গলা কাটার পর রেল ট্র্যাক ধড়ে দেহ টেনে হিচড়ে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে ট্র্যাকের মধ্যেই ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
এদিকে, আজ অসম থেকে ফেরার পথে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া যাওয়ার বড় অভিযোগ। পুরভোটে জেতার পর কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পুজো শেষে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফিরছিলেন তাঁর ৮ জন নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশ সূত্রে খবর, নিউ কোচবিহার স্টেশনের কাছে ট্রেন পৌঁছনোর পর, এক পুলিশ কর্মী শৌচাগারে যান। অভিযোগ, তখনই খোয়া যায় তাঁর ব্যাগ।
পুলিশ ব্যাগে ছিল দুটি গ্লক পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলি। গোটা বিষয়টি নিউ কোচবিহার জিআরপি-কে জানানো হয়। পরে রেললাইন থেকে খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার হলেও, মেলেনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় এক যাত্রী। কারণ, ব্যাগ খোয়া যাওয়ার পর থেকে খোঁজ মিলছে না ওই যাত্রীর।