Deaf and Dumb Treatment Corruption: মূক ও বধিরদের চিকিৎসা নিয়েও দুর্নীতি, অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে ব্যবহৃত যন্ত্র! হাইকোর্টে মামলা দায়ের
Kolkata News: চিটফান্ড দুর্নীতি! নিয়োগ দুর্নীতি! গরু পাচার দুর্নীতি! কয়লা পাচার দুর্নীতি! এরাজ্য়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে

শৌভিক মজুমদার, কলকাতা: মূক ও বধিরদের সরকারি চিকিৎসায় দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা । বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ENT বিভাগের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে । ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট ।
চিটফান্ড দুর্নীতি! নিয়োগ দুর্নীতি! গরু পাচার দুর্নীতি! কয়লা পাচার দুর্নীতি! এরাজ্য়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । এবার মূক ও বধিরদের সরকারি চিকিৎসাতেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ!কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা । বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ENT বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, মামলা দায়ের করল স্পিচ অ্য়ান্ড হিয়ারিং অ্য়সোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ শাখা ।
মামলাকারীদের অভিযোগ, মূক ও বধিরদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১৯ এবং তার পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের সঙ্গে চুক্তি করে । চুক্তি অনুযায়ী, রোগীদের সরকারি হাসপাতালগুলি ওই ক্লিনিকে রেফার করলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা রোগীদের । অভিযোগ উঠেছে, এই ইউনিটগুলিতে নথিভুক্ত নন, এমন ব্য়ক্তিরা অডিওলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন । নিয়ম না মেনে বিভিন্ন ব্যক্তিকে শারীরিক অক্ষমতার শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে । অবৈধভাবে নগদ টাকার মাধ্যমে মুক ও বধির ব্যক্তিদের দ্বারা ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে । যাদের অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেওয়াই হয়নি তাদেরও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে ।
মেডিক্য়াল ইউনিট ও স্বাস্থ্যভবনের একাংশের যোগসাজশে এই দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে । মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলছেন, 'আনরেজিস্টার ব্যক্তিরা অডিও লজিস্ট হিসেবে PPP Unit গুলিতে কাজ করছেন । এই PPP Unit গুলিতে ভুয়ো OPD Ticket তৈরি করা হচ্ছে এবং ভুয়ো পরীক্ষা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে । নিয়ম না মেনে বিভিন্ন ব্যক্তিকে Disability Certificate দেওয়া হচ্ছে । অবৈধ ভাবে নগদ টাকার মাধ্যমে মুক ও বধির ব্যক্তিদের দ্বারা ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে । একই যন্ত্রের জন্য সরকারের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করছে এই PPP Unit গুলি ।' এ নিয়ে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট ।
আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে এ নিয়ে জবাব চেয়েছে বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ । আগামী মাসে এই মামলার ফের শুনানি ।























