Adhir Chowdhury: আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে কংগ্রেসের তিনদিনের পদযাত্রা, শেষ দিনে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা
অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই মিছিল ১৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ধর্মতলায় গিয়ে শেষ হবে। সেখানে সমাবেশ থেকে আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমতা থেকে ধর্মতলা কংগ্রেসের (Congress) তিনদিনের পদযাত্রা আজই শেষ হচ্ছে। হাওড়ার কদমতলা থেকে মিছিল শুরু হয়েছে। অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) নেতৃত্বে এই মিছিল ১৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ধর্মতলায় গিয়ে শেষ হবে। সেখানে সমাবেশ থেকে আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে বিক্ষোভ: উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রবল বিক্ষোভের (Agitation) মুখে পড়ে আমতায় আনিসে খানের (Anish Khan) বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মৃত ছাত্রনেতার গ্রামে পৌঁছতেই মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। রাস্তা অবরোধ করে গ্রামবাসীদের (Villegers) প্রবল বিক্ষোভের মুখে ফিরতে বাধ্য হলেন ফিরহাদ হাকিম। ব্যারিকেড করে ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে বের করলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
'পরিকল্পনা করে বহিরাগত বিক্ষোভ, আনিসের বাবার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল কিন্তু তাঁর শরীর ভাল নেই, তাই ফিরে এসেছি' দাবি করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার বিকেলে আনিস খানের গ্রামে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুলক রায়। তৃণমূল নেতাদের দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। মন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন 'আমরা তো ডাকিনি, কেন এসেছেন?' '৪২ দিন পর চেতনা ফিরল!', 'স্থানীয়দের দাবি, আনিসের বাবার মতোই আমরাও সিবিআই তদন্তই চাইছি'।
ঠিক কী ঘটেছে
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরের মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস (congress) সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir choudhury)। আনিসের বাবা সালেম খানের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়। এরপর দুপুরে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী গিয়ে আনিস খানের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। আনিসের আত্মার শান্তি কামনা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল এদিন। যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুধু আনিসের গ্রামের লোকই নন, আশপাশের বেশ কিছু গ্রাম থেকে বেশ কয়েক হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে যে অনুষ্ঠান। যেখানে বিকেলে ফিরহাদ হাকিম পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।