Anubrata Mandal Arrested: ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত
Cattle Smuggling Case: গরুপাচারকাণ্ডে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।
আসানসোল: গরুপাচারকাণ্ডে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। বাড়ি ঢুকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সকালে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্তত ১০০ জওয়ান বোলপুরের বাড়ি ঘিরে ফেলে। আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে পৌঁছয় সিবিআই। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের ফোন নিয়ে নেয় সিবিআই। তল্লাশির পাশাপাশি অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল।
ইসিএলের গেস্ট হাউসে:
বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে কুলটির ইসিএলের গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। তার মধ্যে ৯ বারই হাজিরা এড়ান তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। কলকাতা এলেও সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি তিনি। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।
জুতো হাতে বিক্ষোভ:
জুতো হাতে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) বিক্ষোভ। এদিন আসানসোলে (Asansol) বিশেষ আদালতে হাতে জুতো উঁচিয়ে এক ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচারকাণ্ডে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারির পর প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ECL-এর গেস্ট হাউসে। তারপর সেখান থেকে পেশ করা হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। অনুব্রতকে নিয়ে গাড়ি ঢুকতে বদলে যায় কোর্ট চত্বরের চেহারা। 'গরু চোর' বলে স্লোগান দেয় বাম-বিজেপি। আর সেই সময় জুতো হাতে তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যদিও গ্রেফতারির পর থেকে মুখে কুলুপ অনুব্রত মণ্ডলের।
আদালতে জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রতর আইনজীবী:
গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের (Bolpur) বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। তার পর কুলটিতে ইসিএল-এর গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ডাক্তারি পরীক্ষার পর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। কিন্তু সেখানে অনুব্রতর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানাননি। আদালতের বাইরে এ দিন সংবাদমাধ্যমে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, 'সকাল থেকে প্রেস যেভাবে ব্যস্ত, ডাক্তারের রিপোর্ট ঘিরে যা সামনে এসেছে, তাতে মানুষের মনে একরকম ধারণা জন্মেছে। আজ জামিন খারিজ হয়ে গেলে পরে সেই যুক্তি দেওয়া হবে। তাই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডেই জামিনের আবেদন করিনি আমরা।'