Anubrata Mondal Update : মাগুর মাছ নিয়ে অনুব্রতকে কটাক্ষ, গরুচোর বলে আসানসোলে বিক্ষোভ
আসানসোলে ইসিএলের গেস্ট হাউস থেকে বের করার সময়, গরু চোর স্লোগান দেন কয়েকজন।

কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল : অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে, আসানসোলে মাগুর মাছ নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা। তৃণমূলের পাল্টা স্লোগান।
দাঁড়িপাল্লায় মাগুর মাছ নিয়ে বিক্ষোভ
শনিবার অনুব্রতকে কটাক্ষ করে, গরু চোর লেখা প্ল্যাকার্ড ও দাঁড়িপাল্লায় মাগুর মাছ নিয়ে আসানসোল ঘড়ির মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেইসময় তৃণমূল কর্মীরা সেখানে হাজির হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে কংগ্রেস কর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেয়।
মাগুর মাছ কেন ?
কিন্তু মাগুর মাছ কেন ? একটি পিছন ফিরে দেখলে জানা যাবে, বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের উত্থান চমকপ্রদ! জানা যায়, মুদির দোকান, মাছের ব্যবসা, গ্রিলের কারখানা, থেকে জেলা রাজনীতির সর্বময় নেতা হয়ে ওঠা তাঁর । ৩ ভাইয়ের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন মেজ। অষ্টম শ্রেণির পরে আর পড়াশোনা করেননি। নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে বাবার ছিল মুদির দোকান। সঙ্গে ছিল গ্রিলের কারখানা ও মাছের ব্যবসা। সেই সব কাজই দেখাশোনা করতেন অনুব্রত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৯৮ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০০৪ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলই বীরভূম জেলা তৃণমূলের দায়িত্বে।
গরু চোর স্লোগান
এদিন আসানসোলে ইসিএলের গেস্ট হাউস থেকে বের করার সময়, গরু চোর স্লোগান দেন কয়েকজন। পরে আসানসোলে সিবিআইয়ের আদালত চত্বরেও অনুব্রতকে দেখে গরু চোর স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা কেষ্ট মণ্ডল স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা।
কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা
নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের যাত্রাপথে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় । নিজাম প্যালেস থেকে অনুব্রতকে নিয়ে রওনা দেয় সিবিআইয়ের ৮টি গাড়ির কনভয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ৫০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আসানসোলের সিবিআই আদালতেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি। দায়িত্বে ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ও ডিসি পদমর্যাদার একাধিক অফিসার। কোর্ট চত্বরে লোহার ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ আটকাটো যায়নি। শুরু হয়ে যায় স্লোগান-যুদ্ধ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত। ‘তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত, আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, বর্ডারে বাজেয়াপ্ত করা গরুর নিলামের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে’ আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। ‘গরু পাচারে সাহায্য করতেন অনুব্রত। দুটি অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। ৭২ দিন হেফাজতে আছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল। তাঁর সঙ্গে এনামুলের কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে’, অনুব্রতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, আদালতে দাবি করেছে সিবিআই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
