Anubrata Mondal Update: গরুপাচার মামলায় আজ অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ
Cow Smuggling Case: আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আজ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতির প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলির সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর আয়ের উত্স কী, তা জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারীরা।
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ অনুব্রতকে: সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত। সেই কারণে তাঁকে ফের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে সিবিআই। খবর সূত্রের। আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। এরপর অনুব্রতকে নিয়ে আসানসোল রওনা দেবেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। "সিবিআই বলছে বলুক, কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।'' দাবি অনুব্রত মণ্ডলের। পাশাপাশি, তদন্তে সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন বলেও দাবি করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
এদিকে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ফ্রিজ করেছে CBI। অনুব্রত মণ্ডলের থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, ১৭ কোটির এই FD’র টাকার উৎস কী? গরু পাচারের টাকা দিয়েই কি FIXED DEPOSIT করা হয়েছে? অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের আর কোথায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে? এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ফ্রিজ করার পর, এবার সিবিআইয়ের নজরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
সূত্রের দাবি, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের নামে কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে? কোনও FD বা বিনিয়োগ করা হয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অনুমান, বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে। এদিকে, শুধু বীরভূম নয় CBI সূত্রে দাবি, বীরভূমে বসেই মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায় গরুপাচার কন্ট্রোল করা হত। অনুব্রতর হয়ে পাচারের কাজ দেখতেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ী এনামুল হকের হয়ে পাচার সামলাত ইলামবাজারের গরুর হাটের দালাল শেখ আব্দুল লতিফ। সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তি কেনার যোগ রয়েছে। দু’-দু’বার হাতবদল করে, সায়গল হোসেনের আত্মীয়ের নামে সম্পত্তি কেনা হয়। এই বেচাকেনায় মূল ভূমিকা ছিল ইলামবাজারের গরুর হাটের দালাল আব্দুল লতিফের।