Arjun Singh Rejoins TMC: 'ভুল বোঝাবুঝিতে ছেড়েছিলাম, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছি,' তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন অর্জুন
Arjun Singh Update:এ দিন বিজেপি নেতৃত্বকেও একহাত নেন অর্জুন।
কলকাতা: ভুল বোঝাবুঝির জন্য দল ছেড়েছিলেন। ঘরের ছেলে, এত দিনে ঘরে ফিরলেন। তৃণমূলে ফিরেই জানিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁর বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলাম। যে ঘরের ছেলে ছিলাম, সেই ঘরের ফিরে এসেছি। আগে ভুল বোঝাবুঝির জেরে দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করি।"
দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার অভিষেকের হাত ধরে জোড়াফুল শিবিরে ফিরলেন অর্জুন। এ দিন ক্যামাক স্ট্রিটে সমন্বয় বৈঠক শেষে পুরনো দলে ফেরেন অর্জুন। তার পর সংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে জানান, মমতার সঙ্গে এখনও সাক্ষাৎ হয়নি তাঁর। বাংলায় সবকিছুই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করেন তাঁরা। তিনি ডাকলেই দেখা করতে যাবে।
এ দিন বিজেপি নেতৃত্বকেও একহাত নেন অর্জুন। বলেন, "দেশের অন্য রাজ্যের থেকে বাংলার রাজনীতি আলাদা। বাংলায় বিজেপি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপের মাধ্যমে রাজনীতি করছে। বাংলা এবং বাংলার বাইরের ভোটের লড়াইয়ে অনেক পার্থক্য। খুব শীঘ্রই মমতার নেতৃত্বে দেশে বড় লড়াই হতে চলেছে।"
আরও পড়ুন: Arjun Singh Update: এখনই সাংসদ পদ ছাড়ছেন না, কারণ জানালেন অর্জুন, কার দিকে ইঙ্গিত!
অর্জুন জানিয়েছেন, তাঁর সংসদীয় এলাকায় পাটশিল্প বঞ্চিত হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলেন তিনি। পাটশিল্পের পুনরুদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই খবর পেয়েই তিনি পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত সামান্য কিছু আদায় হয়েছে, ৭৫ শতাংশ বাকি রয়েছে এখনও।
অন্য দিকে, অর্জুনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই জগদ্দল যাচ্ছেন অভিষেক। আগামী ৩০ মে শ্যামনগর স্টেশনের পাশে অন্নপূর্ণা কটন মিলের পাশে জনসভা করবেন অভিষেক। সেখানে অর্জুনও হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
তবে তৃণমূলে যোগ দিলেও, এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি অর্জুন। বরং তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দুই সাংসদ ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংসদকেই অর্জুন নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অর্জুনের মাধ্যমে তৃণমূল আসলে তাঁদের উপর চাপসৃষ্টি করতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।