Vandan Raha: সাবেকি পুজোয় থিমের ছোঁয়া তাঁর হাতেই, অস্বাভাবিক মৃত্যু শিল্পী বন্দন রাহার
Vandan Raha Death: কলকাতার বুকে হাজার হাজার ভাঁড় দিয়ে প্যান্ডেল বানিয়ে তাক দিয়েছিলেন বন্দন রাহা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বাঁশ কাপড়ের সাবেকি প্যান্ডেলের যুগে তাঁর হাত ধরেই কার্যত এসেছিল থিমের ছোঁয়া। কসবা বোসপুকুরে ২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেলের স্রষ্টা, শিল্পী বন্দন রাহার (Vandan Raha) অস্বাভাবিক মৃত্যু। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের অনুমান, অবসাদে ভুগছিলেন শিল্পী (Depression)। আর তা থেকেই আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন (Vandan Raha Death)।
২০০১ সালে কসবার বোসপুকুরের দুর্গাপুজো টেনে নিয়েছিল সমস্ত লাইমলাইট
কলকাতার বুকে হাজার হাজার ভাঁড় দিয়ে প্যান্ডেল বানিয়ে তাক দিয়েছিলেন বন্দন রাহা। তা-ও আবার আজ থেকে ২১ বছর আগের কথা। তার জেরে ২০০১ সালে কসবার বোসপুকুরের দুর্গাপুজো টেনে নিয়েছিল সমস্ত লাইমলাইট। কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। উৎসবপ্রেমী মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল শিল্পীর অনন্য সৃষ্টির কথা।
সেই ভাঁড়ের মণ্ডপের স্রষ্টা, শিল্পী বন্দন রাহার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাগুইআটির জগৎপুরের আদর্শপল্লিতে দাদার বাড়িতে ছিলেন শিল্পী। সেখানে ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি মঙ্গলবার। তাতে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশই এসে দরজা ভেঙে বছর শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: টিউবওয়েল খারাপ, ভ্যানে চাপিয়ে জল আনেন শিক্ষক! বেহাল স্কুল
আদতে পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন শিল্পী। বর্তমানে বাগুইআটিতে দাদার বাড়িতেই থাকছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে গেলে, বাড়িতে একাই ছিলেন শিল্পী। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বেলা ১২টা নাগাদ, সকলে ফিরে এসে ডাকাডাকি করলেও, তাঁর কোনও সাড়া মেলেনি। শেষে বাগুইআটি থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বন্দন রাহার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
জনপ্রিয় মণ্ডপসজ্জা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত বোসপুকুর শীতলামন্দিরের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব ছিল বন্দন রাহার ওপর। সেইসময়ই তিনি 'এপার বাংলা ওপার বাংলা', 'তাসের দেশ', 'ভাঁড়ের প্যান্ডেল'-এর মতো জনপ্রিয় মণ্ডপসজ্জা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের। সেই শিল্পীর এমন চলে যাওয়া মানতে পারছেন না গুণমুগ্ধরা। কারণ ইদানীং যে থিম পুজো নিয়ে শহরে হাইপ্রোফাইল পুজো কমিটিগুলির মধ্যে টক্কর চলে, সেই থিমের সূচনাই ঘটিয়েছিলেন বন্দন রাহা। তবে ইঁদুর দৌড়ে শামিল হতে নয়, নিজের ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতেই তিলে তিলে সাজিয়েছিলেন সৃষ্টিকর্মকে, যার মধ্য়ে আত্মিক যোগ ছিল স্পষ্ট।