Recruitment Scam: 'নিয়োগের নামে ৪০ কোটি তুলেছে অয়ন শীল', বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে
ED on Ayan : 'শুধু ১২ কোটি নয়, বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নামে অয়ন তুলেছে ৪০ কোটি টাকা', জেরায় ৪০ কোটি টাকা তোলার কথা স্বীকার করেছে অয়ন, খবর ইডি সূত্রে।
![Recruitment Scam: 'নিয়োগের নামে ৪০ কোটি তুলেছে অয়ন শীল', বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে Ayan Sil took 40 crore in Recruitment Scam, information came out after ED interrogation Recruitment Scam: 'নিয়োগের নামে ৪০ কোটি তুলেছে অয়ন শীল', বিস্ফোরক তথ্য ED-র হাতে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/04/10/8123215b79b9b7417bcc84cf79df13531681106420370484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: অয়ন শীলকে জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে। 'শুধু ১২ কোটি নয়, বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার নামে অয়ন তুলেছে ৪০ কোটি টাকা', জেরায় ৪০ কোটি টাকা তোলার কথা স্বীকার করেছে অয়ন, খবর ইডি সূত্রে। এই টাকা পুরোটা পাননি অয়ন, ২০ থেকে ২৫% টাকা কমিশন পেয়েছেন। বাকি টাকা চলে যেত নির্দিষ্ট পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছে, , জেরায় দাবি অয়নের, খবর ইডি সূত্রে। অয়নের বয়ানের ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে সেই প্রভাবশালীদের তালিকা, খবর ইডি সূত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বহর দেখে অনেকেরই চোখ কপালে। কিন্তু, কম যান না, শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলও। তাঁর কীর্তিকলাপের প্যান্ডোরার বাক্স খুলতেই, একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে আসছে। কার্যত সেই বাক্সেই বন্দি ছিল, এই পেট্রোল পাম্পের কাহিনি ।
সময়টা ২০২০ সালের অগাস্ট। করোনা আবহেই হুগলির ধনেখালিতে ২ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা একটি পেট্রোল পাম্প ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেন অয়ন শীল ! উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান এলাকার ব্যবসায়ী শুক্লা পরিবারের ৩ ভাই নন্দগোপাল, অজয় এবং আশিসের নামে ছিল এই পাম্প। শুক্লা সার্ভিস স্টেশন নামে তা কলকাতা পুরসভায় নথিবদ্ধ। ২ কোটি টাকা দিয়ে কেনা এই পাম্প ছেলে অভিষেক এবং তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে কিনে নেন অয়ন শীল।
পেট্রোল পাম্পের আগের মালিক নন্দগোপাল শুক্লা বলেছিলেন, দেনা হয়ে গেছিল ব্যাঙ্কে। তাই করোনাকালে বিক্রি করে দিই। এক দালাল শুভজিৎ-এর মাধ্যমে অভিষেক সিলের সঙ্গে দেখা হয়। ৩টে চেক পাই। চেকগুলো কাকলী শীলের নামে ছিল। ১ কোটি চেকে পাই। আর ১ কোটি ব্যাঙ্কের লোন মিটিয়ে দেন কাকলী। ৭-৮ মাসের মধ্যে টাকা দেওয়া হয়েছে।
পাম্পের ভিতরে, কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের নথিতেই দেখা যাচ্ছে, এই পাম্পের দুই পার্টনার হিসেবে আছেন অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। ব্যবসায়ী ও পেট্রোল পাম্পের আগের মালিক অজয় শুক্লা বলেন, যারা পেট্রোল পাম্প কিনেছেন তাঁরা ব্যবসা করেন, রাইস মিল আছে বলে নিজেদের পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন, 'মমতার সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়', কুড়মিদের ইস্যুতে ট্যুইট দিলীপের
হুগলি জেলা প্রশাসনের পাম্প হস্তান্তরের নথিতেও দেখা যাচ্ছে, সবার ওপরে অভিষেক শীল এবং দ্বিতীয় নাম রয়েছে অভিষেক শীলের বান্ধবী হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদিও অভিষেক শীল বলেন, আমি এই ব্যাপারে এই মুহূর্তে কমেন্ট করছি না। ইডি তদন্ত করে বের করুক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)