Bagbazar Puja: রাজস্থানের আচারি শালগম থেকে মেঘালয়ের কপি পাতার চাটনি, ৪৫১ ভোগ সহযোগে শনি ও কালীর পুজো
নিবেদন করা হল ৪৫১ রকমের ভোগ। হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুজোয় অংশ নেয় সাধারণ মানুষও
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বাগবাজার হাউসিং কমপ্লেক্সে হল গ্রহরাজ শনি ও কালীর পুজো। নিবেদন করা হল ৪৫১ রকমের ভোগ। হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুজোয় অংশ নেয় সাধারণ মানুষও।
রাজস্থানের আচারি শালগম, মেঘালয়ের কপি পাতার চাটনি, গুজরাতের পনির পাতুরি, থেকে বাংলার ডুমুরের তরকারি, এঁচোড়ের পাতুরি, ডাল, মালপোয়া, মিষ্টি।
তালিকা এতই দীর্ঘ, যে বলে শেষ করা যায় না। বাগবাজার হাউসিং কমপ্লেক্সে শনিবার হল গ্রহরাজ শনি ও কালীর পুজো। সেখানেই নিবেদন করা হল ৪৫১ রকমের ভোগ। পুজোর এবার অষ্টম বছর। সেই পুজোয় ভোগ সাজানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মন্দিরের ভোগের কথা মাথায় রেখে। উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা, আগামী দিনে ভোগের সংখ্যা ৫০১-এ নিয়ে যাওয়া। হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুজোয় অংশ নেয় সাধারণ মানুষও।
বাগবাজারে অন্নকূট: এর আগে বাগবাজারের নব বৃন্দাবনে অন্নকূট উত্সবেও এমন ভোগ দর্শনের সুযোগ মিলেছিল দর্শণার্থীদের। সেবার তিনশো রকমেরও বেশি ভোগ নিবেদন করা হয়েছিল কৃষ্ণকে। বাগবাজারের নব বৃন্দাবন মন্দিরের অন্নকূট উত্সবের ৮২ বছর। ২০২২-এর বিশেষ ওই দিনে মন্দিরে ভিড় করেছিলে অসংখ্য ভক্ত।
অন্নকূট। অন্ন মানে ভাত, আর কূট মানে পর্বত। অন্নের পর্বতের ওপর বিরাজ করছেন শ্রীকৃষ্ণ। বাগবাজারের কড়ুই পরিবারের প্রতিষ্ঠিত নব বৃন্দাবন মন্দিরে পালিত হল অন্নকূট উত্সব। তিনশো রকমেরও বেশি ভোগ নিবেদন করা হয়েছিল কৃষ্ণকে। বাগবাজারের নব বৃন্দাবন মন্দিরের অন্নকূট উত্সব এবার ৮২ বছরে পড়ল। বিশেষ এই দিনে মন্দিরে ভিড় করেন অসংখ্য ভক্ত।
পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, কার্তিক অমাবস্যার মহাপ্রলয়ের রাতে ব্রজবাসীকে রক্ষা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রজবাসী বিভিন্ন রকম খাবার রান্না করে নিবেদন করেন কৃষ্ণকে। সেই থেকেই শুরু হয় এই উত্সবের।
সরস্বতী পুজোর দিনক্ষণ: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই অবসান হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের (Students) প্রতীক্ষার। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) অপেক্ষা। সরস্বতী পুজোকে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়। মূলত মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় এই পুজো। বসন্ত পঞ্চমী বসন্তের সূচনা করে। সনাতন ধর্মে মা সরস্বতীর আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ তিনি জ্ঞানের দেবী এবং জ্ঞানের দেবীকে বলা হয়েছে জগতের সব কিছুর থেকে শ্রেষ্ঠ। এই ভিত্তিতে দেবী সরস্বতী সবার থেকে শ্রেষ্ঠ। মনে করা হয় যে, বসন্ত পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতীর পুজো করলে মা লক্ষ্মী ও দেবী কালীরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বসন্ত পঞ্চমী তিথি- এবার বসন্ত পঞ্চমী অর্থাৎ মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২.৩৪ মিনিটে। এটি পরের দিন ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০.২৮ টায় শেষ হবে। উদয়তিথি অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমী ২৬ জানুয়ারি পুজো হবে। এবছর ২৬ জানুয়ারি, ১১ মাঘ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো। ২৬ জানুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর শুভ সময় সকাল ০৭:১২ থেকে বিকাল ১২:৩৪ পর্যন্ত। এই দিনে সরস্বতী পুজোর জন্য ৫ ঘন্টারও বেশি সময় পাওয়া যায়।