Bangladesh Violence: 'ভারতীয় দূতাবাস থেকে মেলেনি সহযোগিতা..', আতঙ্ক নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন উলুবেড়িয়ার শুভদীপ
Dhaka Maedical Student Return Back in Howrah Uluberia :উলুবেড়িয়ার লকেট পাড়ার ছেলে শুভদীপ মিস্ত্রি বছর তিনেক আগে ডাক্তারি পড়ার জন্য গিয়েছিলেন ঢাকায়, চোখের সামনে দেখেছে মৃত্যু মিছিল..
সুনীত হালদার, হাওড়া: গোটা দেশজুড়ে কারফিউ। জারি আছে সুট অ্যাট সাইড অর্ডার। সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে জখম ছাত্ররা দলে দলে আসছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অশান্ত বাংলাদেশের সেই ঘটনার সাক্ষী শুভদীপ মিস্ত্রি। উলুবেড়িয়া ছেলে শুভদীপ শেষমেশ প্রাণ হাতে ঘরে ফিরে আসায় খুশি তার পরিবার।
উলুবেড়িয়ার লকেট পাড়ার ছেলে শুভদীপ মিস্ত্রি বছর তিনেক আগে ডাক্তারি পড়ার জন্য গিয়েছিলেন ঢাকায়। সে ঢাকার মিরপুরে মার্কস মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ডাক্তার হবার অনেক স্বপ্ন নিয়ে অন্যান্য ভারতীয় ছাত্রদের মতো তিনিও ওই কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু গত সপ্তাহে ঢাকা সহ গোটা বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোটা দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।
শুভদীপ চোখের সামনে দেখেছেন, কীভাবে গুলিবিদ্ধ যুবক এবং যুবতীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। চোখের সামনে দেখেছেন মৃত্যু মিছিল। তা দেখে তার উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা বেড়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে অন্যান্যদের মতো শুভদীপ বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উলুবেরিয়ায় তার বাবা মা এবং বোন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
আন্তর্জাতিক কলে ঠিকমত কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল না। ফোনের লাইন বারবার কেটে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় তিন দিন প্রায় অভুক্ত অবস্থায় ছিলেন। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে সে বুঝে উঠতে পারছিল না। শেষমেষ ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেখান থেকে কোনও সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ।
পরে ওই কলেজের প্রিন্সিপাল একটি চিঠি লিখে দেন। ওই চিঠি নিয়ে ভারতীয় ছাত্ররা দেশে ফেরার গাড়ি ধরে। গতকাল শুভদীপ দর্পনা গেদে সীমান্ত পার হয়ে শিয়ালদায় আসেন। সেখান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে উলুবেড়িয়ায় বাড়িতে ফেরেন। নিজের চোখে যেভাবে সে মৃত্যু দেখেছে তাতে তার চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন, শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৯ বছরের বালিকার মৃত্যু, 'আমার মেয়ের সঙ্গে যেমন হল..'
এদিকে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসায় খুশি গোটা পরিবার। তার বাবা বিনয় মিস্ত্রি জানিয়েছেন, টেলিভিশনে খবর দেখে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। ফোনেও ছেলের সঙ্গে ঠিকমত কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। ফলে উদ্বেগ বাড়ছিল। পরিবারের খাওয়া দাওয়া বন্ধ ছিল। তবে তিনি চান ওই দেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক। যাতে ছেলে ফের কলেজে পড়াশোনায় ফিরতে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।