Belur Waterlog: জমা জলের দোসর আবর্জনা, বেলুড়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
Howrah News:বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও বেলুড় স্টেশন রোড চত্বর এলাকার রাস্তায় জল নামেনি। জমা জলের অসুবিধা তো ছিলই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আবর্জনার সমস্যা।

ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: জমা জলের সঙ্গে আবর্জনার সমস্যা। বেলুড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এই ছবিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, বারবার বলার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দ্রুত এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এদিন বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও বেলুড় স্টেশন রোড চত্বর এলাকার রাস্তায় জল নামেনি। জমা জলের অসুবিধা তো ছিলই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আবর্জনার সমস্যা। জানা গিয়েছে, বেতন নাম মেলায় বালি পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দুই সমস্যায় জেরবার স্থানীয়রা। আর এতেই ক্ষুব্ধ বেলুড় স্টেশন রোডের বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। যার ফলে জিটি রোড থেকে বেলুড় রেল স্টেশন যাবার রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
পুরসভার ৯,১০,১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায় এখনও নোংরা দুর্গন্ধময় জল থই থই করছে। রান্নাঘরের মধ্যে জল, তার মধ্যে চলে বেড়াচ্ছে সাপ সহ নানা পোকা মাকড়। এর উপর সাফাই না হওয়ায় জমে থাকা জঞ্জালে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় বিধায়ক প্রথা বিদায় কাউন্সিলরকে বারংবার বলা সত্ত্বেও প্রায় এক মাস যাবত সুরাহা হচ্ছে না। তাই তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, এটা বিধায়কের নিজের ওয়ার্ড হলেও তিনি একবারের জন্য এলাকায় আসেননি। তাঁদের দাবি বিধায়ক এলাকায় এসে সরেজমিনে দেখে আশ্বাস দিন। কিন্তু তিনি আসেননি। পরে পরিস্থিতি সামলাতে বালি থানার পুলিশ আসে। গুরুত্ব বুঝে এসে পৌঁছান এসিপি নর্থ। এলাকায় আসেন কাউন্সিলর প্রাণ কৃষ্ণ মজুমদার। তিনি বাসিন্দাদের বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাসিন্দারা কোনও অবস্থাতেই বিধায়ক ছাড়া অবরোধ তুলতে চাইছিলেন না। অবশেষে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে পুলিশ এবং বিদায় কাউন্সিলরের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। তবে দুদিনের মধ্যে সুরাহা না হলে অবরোধ করবে বলে জানান তাঁরা। কথা বলার জন্য স্থানীয় বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএস-এর জবাব দেননি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ সকালে ওড়িশার গোপালপুরের কাছে স্থলভাগে ঢুকেছে। শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মৎস্যজীবীদের জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সপ্তাহভর কম-বেশি প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। কাল থেকে উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।






















