Recruitment Scam: ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে আবেদন CBI-র
CBI on Job Seekers: এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চাইছে সিবিআই।
কলকাতা: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ৪ জনের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে আবেদন সিবিআই-এর। আলিপুর আদালতে আবেদন পেশ সিবিআই-এর। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আদালতে আগেই সিবিআই-এর সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এই ৪ জন। এবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এই ৪ চাকরিপ্রার্থীর। গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চায় সিবিআই। (CBI) এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চাইছে সিবিআই।
নিয়োগ দুর্নীতি
প্রসঙ্গত, রাজ্যে যেকটি মামলা, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম নিয়োগ দুর্নীতি। কারণ এই মামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যায় শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনও হেভিওয়েটই রেহাই পাননি। বলাইবাহুল্য তৃণমূলের তৃতীয়বারের সরকার গঠনের পাশাপাশিই চোখের বালি হয়ে দাঁড়িয়েছে কার্যত নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। একটা দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে শুরু করে শিক্ষাক্ষেত্রের একের পর এক হেভিওয়েট।
সিবিআই স্ক্যানারে চাকরি প্রার্থীরাও
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারানোর তালিকাতেও রয়েছেন মন্ত্রী কন্যাও।প্রথম দিকে তা কেবল শাসকদলের হেভিওয়েটের দিকে ফোকাসড থাকলেও, এখন সেই পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।তবে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরাও। কে বা কারা এই দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, বা কারা এই দুর্নীতিতে সামিল হয়েছেন, সবেতেই কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'অন্য চাকরি পায় না, তাই শিক্ষকতা, সেই জন্যেই প্রাথমিকে এত দুর্নীতি', মন্তব্য সৌগতর
কে নেই তালিকায় ?
মূলত গত কয়েক মাসে, বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও পরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসেন একাধিক চাকরি প্রার্থী থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষিকাও। সেই তালিকায় বাঁকুড়া থেকে হুগলি জেলা, কে নেই তালিকায় ? গত মার্চ মাসে, গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিল হওয়া ১৯১১ জনের তালিকায় প্রকাশ্যে আসে কোচবিহার ও বাঁকুড়ার দুই তৃণমূল নেতা ও এক নেতার ভাইয়ের নাম। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মেধাতালিকার প্রথম দশে। এদিকে ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ওই শাসকনেতা। আর এসব নিয়েই তৃণমূলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। জবাব দিয়েছে শাসকদল। হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সির অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল সেসময় এসএসসি।