Bhangar Bombing : ভাঙড়ের বোমাকাণ্ডে আরও ১ জন গ্রেফতার, পুলিশের জালে ISF কর্মী
ভাঙড়ের বোমাকাণ্ডে আরও ১ জন গ্রেফতারগভীর রাতে ধৃত আইএসএফ কর্মী আমির আলি ওরফে ফিট্টুবোমার কারখানার হদিশ মেলার পর কারখানার মালিক নবিরুল মোল্লা ও তাঁর ছেলে আগেই গ্রেফতার
রঞ্জিত হালদার , দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের ( Bhangar ) বোমাকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে কাশীপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ISF কর্মী আমির আলি ওরফে ফিট্টু-কে।
বোমার কারখানার হদিশ মেলার পর পুলিশ ওই কারখানার মালিক নবিরুল মোল্লা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে। সে সময় নবিরুল দাবি করেছিলেন, আমির আলি এর সঙ্গে জড়িত। এরপরই ISF কর্মী আমিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার
ভাঙড় থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা, সরঞ্জাম। বোমা কারখানার মালিক, ধৃত, নবিরুল মোল্লার দাবি ছিল, তিনি ISF করেন। ISF-এর চাপেই বোমার কারবার চলত বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ধৃতের স্ত্রী। এদিকে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ISF বিধায়ক। ভাঙড়ে বোমার কারখানার হদিশ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ' এটাই এখন এ রাজ্যের একমাত্র শিল্প। যে শিল্পের মালিক তৃণমূলের নেতারা। মাঝে মাঝে টেস্ট হচ্ছে', এলাকা মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে '
'বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা'
আরও বিস্ফোরক দাবি করেছেন, ধৃতের স্ত্রী। এবিপি আনন্দর তরফে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, 'এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রচুর বোমার মশলা, বোমা তৈরি করাত, বন্দুক, এগুলো কে রেখেছিল? আপনার স্বামী? ' ধৃত বোমা কারখানার মালিকের স্ত্রী সাবিনা বিবির দাবি, ' বললাম তো। ভয় দেখিয়ে, চাপের মধ্যে দিয়ে ওঁকে দিয়ে করানো হত। উনি ভাঙাচোরার ব্যবসা করে। পুরনো জিনিসের ব্যবসা করে। ' এবিপি আনন্দ জিগ্যেস করে, কে চাপ দিত? ভয় দেখাত? সাবিনা বিবির দাবি, ' ভাইজানের লোকেরা। আমরা ভাইজান করতাম। এবারে... এখন এই ওঠাপড়ার দিন এসে গেছে, উনি একটু চেপে গিয়েছিল। '
আরও পড়ুন :
'উত্পাত করা ছাড়া আর তৃণমূলের আর কোনও কাজ নেই' , খোঁচা দিলীপের, পাল্টা কটাক্ষে কুণাল
'বাজেয়াপ্ত ১৫ কেজি মশলা দিতে তৈরি করা যেত প্রায় ৫০০ অত্যাধুনিক বোমা'
ভাঙড়ে বোমার কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি সকেট বোমা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, ১৫ কেজি বোমা তৈরির মশলা, বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ভাঙড়ের নাটাপুকুরে চলছিল বোমা বানানো। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের আগে ফেসবুকে গুলি-বোমা হাতে নিয়ে ছবি পোস্ট করে শামসুদ্দিন রহমান। সেই সূত্র ধরেই পুলিশি অভিযানে ভাঙড়ে বোমার কারখানার হদিশ মেলে। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া বোমা তৈরির মশলা অত্যাধুনিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাজেয়াপ্ত ১৫ কেজি মশলা দিতে তৈরি করা যেত প্রায় ৫০০ অত্যাধুনিক বোমা। দাবি পুলিশের।
ধৃত নবিরুল তখন দাবি করেছিলেন, আমির আলি গোটা ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত
ওই কারখানা থেকে প্রচুর বোমার মশলা ও সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।