Bhawanipore: শব্দবাজির প্রতিবাদ করে ভবানীপুরে আক্রান্ত প্রৌঢ়া ও তাঁর ভাই, উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগও
কালীপুজোর রাতে কোথাও আক্রান্ত হতে হচ্ছে প্রৌঢ়াকে তো কোথাও ১৪ বছরের সন্তানের সামনে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে মহিলার। আবার কোথায়ও বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয়েছে যুবককে।

ভবানীপুর: শব্দবাজির প্রতিবাদ করে ভবানীপুরে আক্রান্ত প্রৌঢ়া ও তাঁর পঞ্চাশোর্ধ ভাই। মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও সাড়া দেয়নি পুলিশ, দাবি আক্রান্তদের। অবশেষে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। হামলার ঘটনায় এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে।
কালীপুজোর রাতে সোনারপুরে খুন হতে হল একজনক। মণ্ডপে বক্স বাজাতে অস্বীকার করায় যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ৩২ বছর বয়সি নিহত সনাতন নস্কর সোনারপুর থানার কুস্টিয়া এলাকার বাসিন্দা। খুনের অভিযোগে প্রতিবেশী ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানা। নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, পাড়ার কালী পুজোতে নিজের বাড়ির সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন সনাতন নস্কর। একজন প্রতিবেশী অসুস্থ থাকায় রাত ১০টা নাগাদ সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে বাড়ি নিয়ে যান তিনি। অভিযোগ, এরপরেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হন প্রতিবেশী পিন্টু সাহা, তাঁর স্ত্রী ও ২ আত্মীয়। মণ্ডপে সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করায় প্রথমে সনাতনের মা ও ভাইকে মারধর করা হয়। সনাতন তার প্রতিবাদ করলে তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সনাতনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরেই পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। সেই সময়ে পিন্টু ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আবার খাস কলকাতায় বিসর্জনের শোভাযাত্রা থেকে চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে 'মারধর'। বৃহস্পতিবার রাতে গড়িয়ার লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনিতে ঘটেছে এই ঘটনা। ১৪ বছরের সন্তানের সামনে রাস্তায় ফেলে দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে ফ্ল্যাটে ঢুকতে চাইলে সিঁড়িতেই মহিলার 'শ্লীলতাহানি' করা হয় বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোলাপসিবল গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে শাসায় দুষ্কৃতীরা। রাস্তা থেকেও ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট।
এই ঘটনার পর নেতাজি নগর থানায় ফোন করেও পাওয়া যায়নি পুলিশের সাহায্য, অভিযোগ দম্পতির। পরে ১০০ ডায়ালে ফোন করে মেলে সাহায্য।
বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য গেলে সেখানেও শাসায় দুষ্কৃতীরা। মেডিক্যাল পরীক্ষা না করানোর চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা, অভিযোগ দম্পতির। ফের ১০০ ডায়াল করায় হাজির হয় পুলিশ, মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে।






















