Bhupatinagar Blast Case: ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA-এর চার্জশিটে নাম দুই তৃণমূল নেতার, তোপ বিরোধীদের
Bhupatinagar News: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলার প্রথম চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। যার ভিত্তিতে তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।
আবির দত্ত, কলকাতা: ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের (Bhupatinagar Blast Case) প্রথম চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি করল NIA। চার্জশিটে নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়ুয়া এবং তৃণমূল কর্মী নবকুমার পণ্ডার। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে এই দুই তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে এনআইএ। এর পাশাপাশি একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি এনআইএ করেছে চার্জশিটে। যেমন বিস্ফোরক জোগান দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী পঞ্চানন গড়াই। লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব ছিল মানবকুমার পড়ুয়া, নবকুমার পণ্ডা ও বলাইচরণ মাইতির বলে এনআইএ সূত্রে খবর। তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন বলাইচরণ মাইতি। ভূপতিনগরে বোমা তৈরি করে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হত সভায় যেতে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে এনআইএ। বোমা তৈরিতে ভয়েস মেসেজের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে যে সভায় না গেলে রান্নাঘরে বোমা রেখে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতা দেখাতে গ্রামেই পুকুরপাড়ে চলত বোমা টেস্টিং। এনআইএর ৩৫ পাতার চার্জশিটে ৬ জনের নাম রয়েছে। যার মধ্যে ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হওয়া বিস্ফোরণে রাজকুমার মান্না সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের দিন গাড়ি আটকে মৃতদেহ তোলা হয় বলেও দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর। বোমা তৈরিতে রাসায়নিকের নমুনা পাওয়া গেছে। ফরেন্সিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে চার্জশিটে দাবি এনআইএর।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ও মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এটা কোনও খণ্ডচিত্র নয়। এটাই পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত তৃণমূলের সরকার পরিচালনার সামগ্রিক দৃষ্টান্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের ভিত্তি হচ্ছে বোমা। আর লক্ষ্য হচ্ছে আতঙ্ক। ভূপতিনগরে যে ঘটনাটি ঘটেছে আর তার সঙ্গে যে তৃণমূল জড়িত রয়েছে এটার জন্য কোনও তদন্তের প্রয়োজন হয় না। কারণ আপনি যে বাড়িতে কোনও রেনোভেশন করতে যান তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের কাউন্সিলর আপনার বাড়িতে পৌঁছে যান। আপনি যদি এক বস্তা বালি আপনার বাড়ির সামনে রাখেন তাহলে তৃণমূলের সিন্ডিকেট এসে প্রশ্ন করে কার থেকে বালি নিয়েছ। আর তারা এতবড় বোমার কারখানার খবর রাখত না। তৃণমূলের অনুমোদনে, তৃণমূলের অনুপ্রেরণায়, তৃণমূলের সহযোগিতায় ও পুলিশের মদতে ওখানে বোমার কারখানা চলছিল। এই বিষয়টা সারা রাজ্যজুড়েই চলছে।"
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, "গোটা পশ্চিমবাংলার মানুষ যেটা জানেন সেটাই চার্জশিটে উঠে এসেছে। ক্ষমতা, ভয় দেখানো, দাপট এবং নিজেদের খুশি মতো কাজ করার জন্য কিছুটা পুলিশ প্রশাসন ও উপরে নবান্নের হাত মাথায় রেখে বোমা তৈরি করেছে, মজুত করেছে আর মানুষকে ভয় দেখিয়েছে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Bhangar News: থানার অদূরে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, চাঞ্চল্য ভাঙড়ে