Birbhum News: সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
Birbhum Update: সরকারি জমি দখল করে চাষবাসের অভিযোগ উঠেছে সাঁইথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন, ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য।
এরশাদ আলম, বীরভূম: ফের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ। এ বারও কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থল বীরভূমের (Birbhum) সাইঁথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েত। এতদিন সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি বা অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগ সরকারি জমি (Government Land) দখল করে চাষবাস করার। আর যাঁরা অভিযোগ করলেন তাঁরাও তৃণমূল নেতা।
কী অভিযোগ?
সরকারি জমি দখল করে সেখানে চাষবাসের অভিযোগ উঠেছে সাঁইথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন, ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগকারীর তালিকায় রয়েছেন এলাকাবাসীরাও। অভিযোগ সাঁইথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কুনলা মৌজায় প্রায় ৬৫ বিঘা খাস জমি দখল করে দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর ধরে সেখানে চাষ করছেন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল। এরপর তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জনার্দন বাগদি সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য এর বিরোধিতা করেন। এলাকাবাসীদের (Locals) সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকার সমস্ত খাসজমি দখল করে চাষবাস করছেন। পঞ্চায়েত প্রধানকে দীর্ঘদিন ধরে বলেও কোনও লাভ হয়নি। গরিব বাসিন্দাদের ওই জমির পাট্টা পাওয়ার দাবি করা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল।
অভিযুক্তের দাবি:
বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, 'ওই এলাকায় আমি কোনও খাস জমি দখল করে চাষ করিনি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেসব জায়গায় আমি চাষ করেছি সেসব জমি আমার নিজের কেনা। কে অভিযোগ করছে জেলা নেতৃত্ব ভাল করেই জানে। কেন অভিযোগ করছে তাঁরাই ভাল বলতে পারবেন।'
প্রশাসনের বক্তব্য:
সাঁইথিয়া ব্লকের সমষ্টি ভূমি সংস্কার আধিকারিক কৌশিক চৌধুরি বলেন, 'আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে ওখানে ৬৫ বিঘা জমি খাস জমি। সেগুলিতে আলু-ধান এসব চাষ করা হয়েছে। ওই জমি দখল করে চাষ করার অভিযোগ উঠেছে বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। আমরা ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছি তদন্ত করে সে রিপোর্ট আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো।'
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় ফোন, চতুর্থ হয়ে ধন্যবাদ জানালেন অর্পিতা