Anubrata Mondal: নেই আত্মীয়, নেই কর্মীও! বাবা-মেয়ের গ্রেফতারিতে 'নিঝুম' কেষ্টর বাড়ি
Cow Smuggling Case:বীরভূমে ফাঁকা হয়ে পড়ল অনুব্রতর বিশাল বড় বাড়ি। গোটা বাড়িটা কার্যত খাঁ খাঁ করছে।
ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, বীরভূম: গরুপাচার মামলায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল, দিল্লিতে গিয়েছিলেন কেষ্ট-কন্যা। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি। আর বীরভূমে ফাঁকা হয়ে পড়ল অনুব্রতর বিশাল বড় বাড়ি। গোটা বাড়িটা কার্যত খাঁ খাঁ করছে। যাঁর বাড়ি তাঁর পরিবারেরই কেউ নেই। অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মন্ডল। তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর এক বান্ধবী। আর থাকতে গাড়ির চালক। সাকুল্যে এই কজনই।
পাশে নেই কেউ?
ওই বাড়ির ঠিক পাশেই রয়েছে অনুব্রতর দাদার বাড়ি। পরিবারের এমন বিপদ, তাঁরা কোথায়? তাঁরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রত বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযাগ নেই তাঁদের। যাওয়া-আসা নেই কোনও আত্মীয়-বন্ধুরও। বলা হয় এই কদিন আগেই অনুব্রতর নামে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পরেই কার্যত সব সমীকরণই আস্তে আস্তে পাল্টে গিয়েছে। যদিও এখনও দলের দেলা সভাপতি পদেই রয়েছে অনুব্রত। কিন্তু সেই ঝাঁজ কি আছে? একসময় ওই বাড়ি গমগম করত। এখন কেউ আসে না।
শুধু আত্মীয়-পরিজনই নন, দূরে সরে গিয়েছেন দলের কর্মী-সঙ্গীরাও? সূত্রের খবর, দলের কর্মীদের খোঁজখবর না রাখা নিয়ে নাকি বেশ কয়েকবার ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন সুকন্যা মন্ডল। তিহাড়ে অনুব্রত মন্ডল থাকার সময় তাঁকে কষ্ট করতে হচ্ছে, কিন্তু যাঁরা একসময় অনুব্রত মন্ডলের চারপাশে থাকতেন তাঁরাই আর কোনও খোঁজ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন সুকন্যা।
তাহলে কি রকেটগতিতে উত্থান, আরও ক্ষমতা, আরও অর্থের মাঝে পড়ে আত্মীয়-পরিবারের সঙ্গে যোগই ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল? দলীয় কর্মীরাও কি দূরে সরে গিয়েছেন? আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত। এবার একই মামলায় গ্রেফতার হল তাঁর মেয়েও। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অঢেল টাকা- এসবের হিসেব নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকা, নগদ টাকার খোঁজ মিলেছে। সুকন্যার নামের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। তাঁর নামে বিপুল অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। সুকন্যার নামে চালকল রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন সুকন্যা। ঠিকমতো উত্তর দিচ্ছেন না, তথ্য গোপন করছেন এমন অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বাবা-মেয়ে দুজনেই গ্রেফতার হলেন, তাঁরা রইলেন দিল্লিতে। আর একসময় গমগম করত বীরভূমের যে বাড়ি। তা এখন নিস্তব্ধ।
আরও পড়ুন: হাওড়া আদালতের বিচারকের সই জাল করার অভিযোগে গ্রেফতার এক মুহুরি