Birbhum News: অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার মাঝেই ফের দল ছাড়লেন একাধিক TMC নেতা
Birbhum TMC leader left the party: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দল মজবুত করতে বীরভূম জনসংযোগ যাত্রা করছেন, তখন আবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের একাধিক নেতা।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যখন দল মজবুত করতে বীরভূম (Birbhum) জনসংযোগ যাত্রা করছেন, তখন ফের দল ছাড়লেন তৃণমূলের একাধিক নেতা (TMC Leader)। দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় তৃণমূল দল ছাড়লেন পঞ্চায়েত সদস্যা, বুথ সভাপতি এবং অঞ্চল কমিটির সদস্য।
বীরভূমে রামপুরহাট ১নং ব্লকের বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতে পাঁচ নম্বর সংসদে পঞ্চায়েত সদস্যা ফিরোজা বিবি, বুথ সভাপতি সাজাহান বাদশা, অঞ্চল কমিটির সদস্য তাহের মির্জা সহ বেশ কয়েকটি পরিবার দল ছাড়েন। লিখিত পদত্যাগ পত্র তাঁরা দলের নেতৃত্ব পাঠিয়ে দেন। পঞ্চায়েত সদস্যা ফিরোজা বিবি বলেন, 'দল আমাদেরকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। বার বার জানিও কোন লাভ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত।'
গতবছরও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল বীরভূমে। তখন দলে দলে না হলেও, দলে সম্মান না পেয়ে, অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার তৃণমূল বিয়োগে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রকাশ্যে অভিমান এবং ক্ষোভের কথা জানিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন, অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)।তৃণমূলে সম্মান পাচ্ছেন না জানাতে, পদ্মশিবির থেকে ডাকও পেয়েছিলেন তিনি। বিপ্লব বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। বীরভূমে তৃণমূলের সহ-সভাপতিও ছিলেন। অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি। তাঁর দাবি, গত এক বছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। দলে সম্মান পাচ্ছেন না। কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকার পর্যন্ত প্রয়োজন বোধ করে না দল, এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বিপ্লব। তাঁর এই প্রকাশ্য দাবি অস্বস্তিতে ফেলেছিল সেবারও তৃণমূলকে।
তবে শুধু বীরভূমই নয় দল ছাড়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায়।বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে ফের ভাঙ্গন তৃণমূলের ঢেকো অঞ্চলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ২০ টি পরিবার। বুধবার বাঁকুড়া জেলার রাইপুর ব্লকের ঢেকো অঞ্চলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় খোদ আদিবাসী সেলের অঞ্চল সভাপতির গ্রামের ২০ টি আদিবাসী পরিবার। এই নিয়ে বেশ কোণঠাসা ঢেকো অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
সামনেই পঞ্চয়েত ভোট যেখানে সব দলই তাদের শক্তি পরীক্ষা করতে ব্যাস্ত সেখানে একের পর এক গ্রামে ভাঙন যা নিয়েই দুশ্চিন্তা এখন রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। এভাবে কর্মী সমর্থকরা বিমুখ হলে আগামী দিন গুলি যে মোটেও সুখকর হবে না শাসক দলের জন্য, চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ঢেকো অঞ্চল যুব সভাপতি জানান, 'আদিবাসী সেলের সভাপতির আচরণে ক্ষুণ্ন হয়েই ওই আদিবাসী পরিবারগুলি বিজেপিতে যোগ দিলেন', বলে তাঁর অনুমান। সম্প্রতি নবজোয়ার যাত্রার পরেই কোচবিহার তৃণমূলেও ভাঙন ধরা পড়ে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভেটাগুড়ি গ্রাম। ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ বিজেপিতে ৪ সদস্য। যদিও, 'জোর করে দলবদল, আবার ফিরে আসবে', দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?