Suvendu Adhikari: 'আবাস যোজনা, পিসিমণির যোজনা', অনুব্রত গড়ে নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu on Ahishek Mamata on PMAY Scam: অনুব্রতগড়ে সভা করতে গিয়ে আবাস দুর্নীতি নিয়ে এদিন তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ?
বীরভূম: অনুব্রতগড়ে সভা করতে গিয়ে আবাস দুর্নীতি (PMAY Scam) নিয়ে এদিন তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এদিন ময়ুরেশ্বরে সভা করতে গিয়ে, তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কি আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন কিনা। এরপরেই নাম না নিয়েই শুভেন্দু নিশানা বলেন, আজকেও তোলাবাজ ভাইপো উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছেন, বাংলা আবাস যোজনা। তোমার পিসিমণির যোজনা।'
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নাম তাতে যেমন জড়িয়েছে, তেমনই কোথাও কোথাও আঙুল উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও। এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবিরও। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতা কিংবা আত্মীয়দেরও।
মালদায় ডিএম অফিসে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করে আবাস যোজনার নথিপত্র খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল। তবে অধিকারী গড়ে গিয়েই, ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখে পড়েন সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কোনওক্রমে ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পরে, বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। আবাস যোজনা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে রাজ্যে। বিভিন্ন জেলায় আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে, পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। রাস্তা অবরোধ হয়েছে। এবার আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেকও। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তাও দেন তিনি।
অভিষেক বলেন, 'ধন্যবাদ জানাই রাজ্য সরকারকে। এত বড় একটা কাজে, আশা, অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের কাজে লাগিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ যা করেছে, তাতে যত প্রশংসা করা যায় ততই কম। কেন্দ্র এতদিন টাকা বন্ধ করে রেখে, হঠাৎ টাকা ছেড়েছে, তাও মাত্র ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য। যেখানে ৫০ লক্ষ বাড়ি রয়েছে। একটু দেখে নিন যে তালিকা হয়েছে তা হয়েছে ২০১৮ সালে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তখন সেখানে দায়িত্বে কে ছিলেন। কোন পরিবার ছিলেন। অবশ্যই দলের ভুল ছিল, আমরা একজনকে বিশ্বাস করেছিলাম। তার জন্য কাঁথির জনসভা থেকে আমি সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। লোকে ঠকে শেখে।'
আরও পড়ুন, 'দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল', কাকে 'আবর্জনা' বললেন অভিষেক ?
অভিষেক আরও বলেন, 'কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না দল। ইতিমধ্যেই অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'সরকার কড়া নির্দেশ দিয়েছে পুরো তালিকা ঠিকমতো যাচাই করা হবে। সরকার বলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সরকার সেটা করে দেখিয়েছে। বিজেপিও বলে জিরো টলারেন্স। কিন্তু ওরা সারদা মামলায় নাম জড়ালে মুখ্যমন্ত্রী করে। ক্যামেরার সামনে হাত পেতে টাকা নিলে তাঁকে দলে বড় পদ দেয়। তৃণমূল দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয় না। দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়। যা যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা তৃণমূল পালন করে।'