Birbhum News: 'স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছেন না TMC নেতা' ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষক
HC on TMC Leader on eacher: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষক। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পরিচালন সমিতির সচিবের হাজিরা নিশ্চিত করতে বীরভূমের এসপি-কে নির্দেশ।
ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, বীরভূম: তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষক (Calcutta High Court)। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্কুল পরিচালন সমিতির সচিবের হাজিরা নিশ্চিত করতে বীরভূমের এসপি-কে নির্দেশ (SP)।৮ মে হাজিরা নিশ্চিত করানোর নির্দেশ (Justice) বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর।
মহম্মদবাজারের তেঁতুলবেড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষকের দাবি,'স্কুলে অবৈধ নির্মাণে বাধা দেওয়ায় স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছেন না স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজারাম ঘোষ। ২০১৭ সাল থেকে স্কুলে ঢুকতে বাধা', বলে দাবি ওই শিক্ষকের। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, জেলাশাসককে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি, অভিযোগ শিক্ষকের। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দ্রনাথ।প্রসঙ্গত, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে একের পর এক শাসকদলের হেভিওয়েটদের। অনেকেই গিয়েছেন জেলে। যা নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তিতে শাসকদল। আর এবার নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু না হলেও নতুন করে সেই শিক্ষার ক্ষেত্রেই ফের অভিযোগের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে স্ক্যানারে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক। তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার । সকাল ১১ থেকে প্রবীর কয়ালকে (Prabir Kayal) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জারি রয়েছে প্রশ্ন-পর্ব। প্রবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ মাসে দু'কোটিরও বেশি টাকার লেনদেনের অভিযোগ। কোথা থেকে জমা পড়ল এত টাকা? জানতে চায় সিবিআই (CBI)।
সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত একাধিকবার প্রবীর কয়ালের অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মাঝে একবার দু'মাসে ২ কোটির বেশি টাকা পড়েছে অ্যাকাউন্টে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি আসলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ? এর সঙ্গে কী তৃণমূল বিধায়কের কোনও যোগসূত্র রয়েছে ? এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অর্থের বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ জানতেন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়কই। এমনইটাই সিবিআইকে জানিয়েছিলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। যদিও 'তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ষড়যন্ত্র হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে' বলে এবিপি আনন্দের কাছে মুখ খুলেছিলেন প্রবীর কয়াল।
আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?
আরও পড়ুন, ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?
অ্যাকাউন্টে ২ কোটির বেশি টাকা লেনদেন প্রসঙ্গে প্রবীর কয়াল সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, 'তাপস সাহার সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে কোনও লেনদেন হয়নি। ওই টাকাটা একজন সরকারি কনট্রাক্টরের।' এদিকে, প্রবীর কয়ালকে নিজের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক হিসেবেই মানতে নারাজ তেহট্টে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। পাশাপাশি কোনওরকম আর্থিক লেনদেনও তাঁর সঙ্গে হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাপস সাহার অভিযোগ, 'গাড্ডায় পড়ে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।'