TMC MLA Complains:বিধায়ক হলেও কোনও ক্ষমতা নেই, নানুরের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত?
Birbhum News:বিধায়ক হলেও তাঁর হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করলেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক। সিপিএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য় হলেও, পরোক্ষে দলীয় নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুললেন বিধান মাজি।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিধায়ক হলেও তাঁর হাতে কোনও ক্ষমতা নেই (powerless MLA)। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করলেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA Of Nanoor points out)। সিপিএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য় হলেও, পরোক্ষে দলীয় নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুললেন বিধান মাজি। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
কী অভিযোগ?
নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাজি বলেন, 'যাঁরা নানুর বিধানসভার রাজনীতির খবর জানেন, তারা খুব ভাল করেই জানেন যে, শুধুমাত্র নামমাত্রই বিধায়ক আমি। আমায় কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা এই জেলা থেকে দেওয়া হয়নি।' গ্রামের রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ককে কাঠগডায় তুলেছিল বিরোধীরা। সেই অভিযোগ খারিজ করতে গিয়ে, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় শোনা গেল নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাজি-র গলায়! তাঁর দাবি, বিধায়ক হওয়া সত্বেও, তাঁর হাতে কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি! নাম না করে কার্যত জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। গত কয়েকদিনে, নানুরের বিভিন্ন জায়গায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাজিকে। গত ১৪ জানুয়ারি বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এক ঘটনা ঘটে পর দিনও। এই প্রেক্ষাপটেই নানুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় সিপিএম। সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য মহম্মদ শরিফউদ্দিন বলেন, 'কোথাও কোনও কাজ করেনি। রাস্তার পাথর উঠে যাচ্ছে। শুনি এমএলএ ১৩ শতাংশ টাকা কাজ হওয়ার আগেই নিয়ে চলে যায়। প্রত্য়েকের তো কমিশন আছে। তাই বিক্ষোভ দেখায়।'
জবাব নানুরের বিধায়কের...
সিপিএমের এই অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি। তবে একই সঙ্গে নিজের সীমাবদ্ধতার কথাও সামনে আনেন তিনি। বিধান মাজির কথায়, 'অভিযোগ সম্পূর্ণ হাস্য়কর ও অবান্তর। ...কন্ট্রাক্টরি কাজ কে পাবে, না পাবে, সেটা ঠিক করে দেন অবজার্ভার। সেখানে আমাদের এমএলএ'দের কিছুই করার থাকে না। ...সারা পশ্চিমবঙ্গের কোথাও অবজার্ভার নেই। অবজার্ভার পদ তুলে দেওয়া হয়েছে। সেটা বহাল তবিয়তে আছে নানুর বিধানসভা এলাকায়। ...কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়নি। কোনও অঞ্চলের কোথায় কী কাজ হবে, সে ব্য়াপারেও আমার নাক গলানোর নিষেধ আছে।' বিজেপির তরফে বিষয়টি মানতে চাওয়া হয়নি। বীরভূমে তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। সত্য়ি ঘটনা নয়। বিধান মাজির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। পার্টির নিয়ন্ত্রণ সর্বত্র থাকে।' সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নানুরের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য় কি বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা করে দিল? উত্তর দেবে সময়।