Suvendu Adhikari: এসএসসি-টেটের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বুথ সভাপতি পদে বসান, পরামর্শ শুভেন্দুর
একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়ের ধাক্কা কাটাতে অসংখ্য তরুণ-তরুণীর এই ক্ষোভ-অসন্তোষকেই কি কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
মেমারি: আন্দোলনকারী ও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে তাঁদেরকে সংগঠনে আনতে চাইছে বিজেপি (BJP)। গতকাল মেমারিতে (Memary) শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, বুথ স্তরের সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতেই এমন কৌশলের ভাবনা? যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে (West Bengal)। নিত্যদিন জেলা থেকে শহরের রাজপথে আছড়ে পড়ছে চাকরি প্রার্থীদের ক্ষোভ। আর এরইমধ্যে একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়ের ধাক্কা কাটাতে অসংখ্য তরুণ-তরুণীর এই ক্ষোভ-অসন্তোষকেই কি কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির জনসভা থেকে তেমনই ইঙ্গিতই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)!
এ দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, 'আমি আমার মণ্ডল সভাপতিদের বলব, বুথ সভাপতি যদি হওয়ার জন্য কেউ সাহস না পায়, ওই গ্রামে গিয়ে, SSC-কে দিয়েছিল? টেট পাস করে, PTTI থাকা সত্ত্বেও, কে প্রাইমারির চাকরি পায়নি। আর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ১১ বছর চাকরি না পেয়ে, কার বয়স ৪০ হয়ে গেল, এমন ছেলেকে বা মেয়েকে খুঁজে বের করে, বুথ সভাপতির দায়িত্ব দেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত যন্ত্রণাটা কী, তা ওই যুবক বা যুবতীটি যিনি ভুক্তভোগী, তিনি বুথের লোকেদের বলতে পারবেন।'
বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট বুথের ৪০ শতাংশে ভাল সংগঠন রয়েছে বিজেপির। তবে এর সিংহভাগই উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে। ৩০ শতাংশ বুথে কমিটি থাকলেও, তার বেশিরভাগই খাতায় কলমে এবং তেমন সক্রিয়ও নয়। বাকি, রাজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ বুথে বিজেপির সংগঠন প্রায় নেই বললেই চলে!
বিজেপির অন্দরের দাবি, বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দেশ জুড়ে বুথস্তরের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে বলা হয় বুথ পিছু ২০০ জন করে সক্রিয় সদস্য তৈরির টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়। সেই জন্যই কি এবার একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা তরুণ-তরুণীদের কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি?এখন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা বিজেপির বুথের হাল ধরতে চায় কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের!
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দেশ জুড়ে বুথস্তরের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে বলা হয় বুথ পিছু ২০০ জন করে সক্রিয় সদস্য তৈরির টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়। সেই জন্যই কি এবার একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতিতে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা তরুণ-তরুণীদের কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি?এখন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা বিজেপির বুথের হাল ধরতে চায় কিনা, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের!
আরও পড়ুন: Roopa Ganguly meets Kunal Ghosh: কুণাল-রূপার সাক্ষাত ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে