Mine Worker Body:নিকাশি নালার পাশ থেকে খনি কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই অন্ডালে
Paschim Bardhaman: নিকাশি নালার পাশ থেকে দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য অন্ডালের পড়াশকোল কোলিয়ারি এলাকায়। দেহটি এক জন খনি কর্মীর বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রের খবর।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: নিকাশি নালার পাশ থেকে দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য অন্ডালের পড়াশকোল কোলিয়ারি এলাকায়। দেহটি এক জন খনি কর্মীর বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রের খবর। কিছু দিন আগে, প্রায় একই রকম ভাবে পাণ্ডবেশ্বরের একটি নালা থেকে খোলা মুখ খনির বেসরকারি গাড়ির চালকের দেহ উদ্ধার হয়। এবার খোঁজ মিলল মৃতদেহের।
যা জানা গেল...
এদিন যাঁর দেহ উদ্ধার হয়, তাঁর নাম গঙ্গাধর প্রধান বলে জেনেছে পুলিশ। ৪৬ বছরের ওই খনি কর্মী ইসিএলে কাজ করতেন বলেও জানা যায়। রবিবার ভোরে দেহটি এলাকার বাসিন্দাদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় মৃতের আত্মীয়দের। পড়াশকোল জনবসতির ঠিক কাছে একটি নালায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলে চলে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা দীপক শেট্টি জানিয়েছেন, গঙ্গাধর প্রধান মদ্যপান করতেন। রীতিমতো আসক্ত ছিলেন। তাঁদের আদত বাড়ি ওড়িশায়। গঙ্গাধরের পরিবারও সেখানে থাকে। এখানে চাকরি সূত্রে বাস করতেন তিনি। বর্তমানে ইসিএল আবাসনে একাই থাকছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মদের নেশায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে পুরো ঘটনাই তদন্তসাপেক্ষ। ময়নাতদন্তের পর মৃত্য়ুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হবে। সত্যিই কি দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হয়েছে গঙ্গাধরের নাকি অন্য কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে? উত্তরের অপেক্ষায় স্থানীয়রাও। দিন চারেক আগে, এই পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই পেশায় খনি শ্রমিক বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। শোনা যায়, চাকরি পাওয়ার জন্য কর্মরত বাবাকে খুন করে সে। উখড়া এলাকার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
উখড়ার ঘটনা...
ওই ঘটনায় গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই খনি কর্মীর দেহ মিলেছিল। দিনটা ছিল ২৩ জানুয়ারি। মৃতের নাম এতোয়ারী মিঞা। তিনি চনচনি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। প্রথমে ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছিল দিন দুয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরলেও আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খুঁজে না পাওয়ায় ওই দিন রাতেই উখড়া ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তার দুই দিন পরে ২৩ জানুয়ারি ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের মুখে গভীর ক্ষত চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। সেই ক্ষতচিহ্ন থাকার কারণেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তদন্ত শুরু করে পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, বাবার মৃত্যু নিয়ে ছেলে আব্দুল হাকিমের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন:শীতের কামব্যাকে ফের পারদ, সরস্বতী পুজোর দিনে কেমন থাকবে আবহাওয়া?