Bowbazar Incident : বারবার বিপর্যয় কি রুটবদলের জেরে ? বউবাজারকাণ্ডের পর উঠছে প্রশ্ন
Metro Route Change : রুট বদল না হলে কি এড়ানো যেত বিপর্যয়? বউবাজারকাণ্ডের পর, একাধিকবার উঠেছে এই প্রশ্ন। এনিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) নির্মাণে বারবার বিপত্তি এক জায়গাতেই। বউবাজারে (Bowbazar) কখনও বাড়ি ভেঙে পড়েছে, এখন ফাটল ধরছে। বিজেপির (BJP) দাবি, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট পরিবর্তনের জেরেই এই বিপত্তি।
সত্যিই কি রুট পাল্টানোতেই বারবার বিপর্যয় হচ্ছে? ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রের রুট পাল্টানোর পরামর্শ কারা দিয়েছিল? কারা সেই পরামর্শ গ্রহণ করে রুট পাল্টেছিল? কেন রুট পাল্টানো হয়েছিল? রুট পাল্টানোয় (Metro Route Change) যে অনেকটা আর্থিক ক্ষতি ও সময়ের অপচয় হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিক মেট্রো রুট
প্রাথমিকভাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য যে রুট নির্ধারিত হয়, সেখানে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের (BB Ganguly Street) নিচ দিয়ে সরাসরি শিয়ালদহ (Sealdah) ও লালদিঘিকে (Laldighi) জোড়বার কথা ছিল। ২০০৮-এর ২৭ অক্টোবর - সল্টলেক (Saltlake) সেক্টর ফাইভ (Sector Five) থেকে শিয়ালদহ, বউবাজার, লালদিঘি হয়ে হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan) পর্যন্ত প্রস্তাবিত সেই রুট অনুমোদন পায়। কিন্তু সেন্ট্রালের কাছে নতুন স্টেশন করা নিয়ে জমি জট তৈরি হয়। ২০১২ সাল থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে চিঠি-চাপাটি চলে। এরই মধ্যে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা অবধি হয়ে মেট্রোর কাজ থমকে যায়।
রুট পরিবর্তন, অতিরিক্ত খরচ
২০১৪ সালের পরে মেট্রোর রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লালদিঘি থেকে এসপ্ল্যানেডে নিয়ে যাওয়া হয় মেট্রোর সুড়ঙ্গ। সেখান থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার হয়ে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। KMRCL সূত্রে খবর, এই রুট বদলের জন্য, ১ হাজার ৮৭৮ মিটার অতিরিক্ত যাত্রাপথ তৈরি করতে হচ্ছে। আগের রুটে এই প্রজেক্টে খরচ হত ৪ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। আর এখন হবে ৮ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। অর্থাত্, রুট বদলের ফলে অতিরিক্ত ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তৈরিতে মেট্রো রেলকে সাহায্য করছে জাপানি সংস্থা JICA বা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি। এই প্রকল্পে তারা আগে খরচ করত ২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। রুট বদলের পর এই সংস্থা খরচ করছে ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, প্রথমে, KMRCL ও জাইকা, উভয়ই পরিবর্তিত রুটে সম্মতি দেয়নি। পরবর্তী সময়ে নতুন রুটে মেট্রো চালানোর জন্য পৃথক সার্ভে করে জাইকা। এরপরই রুটবদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু, বারবার বিপর্যয়ের পর তৈরি হওয়া বিতর্কের জেরে মূল প্রশ্ন হচ্ছে, রুট বদল না হলে কি এই বিপত্তি এড়ানো যেত?
আরও পড়ুন- টানেলে জল ঢুকে বিপদ? ঠিক কী কারণে বারবার বিপত্তি?