Burdwan Medical Chaos: পড়ুয়াদের ২ গোষ্ঠীর বিবাদ, রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ চত্বর
East Burdwan News: দুই দাবি ঘিরে কার্যত আড়াআড়ি বিভক্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের ২ গোষ্ঠীর বিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান মেডিক্য়াল হাসপাতাল চত্বর।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: পড়ুয়াদের ২ গোষ্ঠীর বিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। অভীক দে-লবির বেশ কয়েকজন পড়ুয়া এখনও কলেজ ক্যাম্পাসে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ। পাল্টা সাসপেন্ডেড ছাত্রছাত্রীদের ফেরানোর দাবিতে সরব হয় অপরপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামীকাল কলেজে যাচ্ছেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির সদস্যরা।
পড়ুয়াদের একপক্ষ চাইছে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাক কলেজের দরজা। আরেকপক্ষ আবার বলছে, সাসপেন্ডেড ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই দুই দাবি ঘিরে কার্যত আড়াআড়ি বিভক্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের ২ গোষ্ঠীর বিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বর্ধমান মেডিক্য়াল হাসপাতাল চত্বর। শেষপর্যন্ত বর্ধমান থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। নামাতে হয় মহিলা কমব্যাট ফোর্স-ও।
আর জি কর-কাণ্ডের আবহে রাজ্য়ের বিভিন্ন মেডিক্য়াল কলেজে, একটি নির্দিষ্ট লবির বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজেও SSKM মেডিক্যাল কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীক দে-র অনুগামীদের বিরুদ্ধে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির অভিযোগ তোলে পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ সামনে আসার পর বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ডও করা হয়। থ্রেট কালচারের অভিযোগে নিলম্বিত হওয়া অভিযুক্তদের অবিলম্বে মেডিক্যাল কলেজে ফেরানোর দাবিতে কয়েকজন চিকিৎসক-পড়ুয়া কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলে তার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পড়ুয়াদের আরেক গোষ্ঠী।
বুধবার কলেজ কাউন্সিলিংয়ের মিটিং শুরু হতেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। ঝামেলার সময় বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক-পড়ুয়া শেখ মহম্মদ সাগির বলেন, "অভীক দে ও বিরূপাক্ষ-লবির লোকেদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও কলেজে থ্রেট কালচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ৩জন ছাত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন দেব।'' যদিও হেনস্থার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে অপর পক্ষ। মাসুম মোল্লা বলেন, "মিথ্যে অভিযোগ। যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।''
বর্ধমান মেডিক্যাল চত্বরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের কোর্টেই বল ঠেলেছেন অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "পড়ুয়াদের অভিযোগ স্বাস্থ্যদফতরে পাঠিয়েছি। তারা পদক্ষেপ নেবে।'' স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে উদ্ভূত পরিস্থতি সামাল দিতে আজ বৃহস্পতিবার সেখানে যা্চ্ছে গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির প্রতিনিধি দল।






















