(Source: Poll of Polls)
Burdwan: বর্ধমান স্টেশনে ফের পদপিষ্টের ঘটনা, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭
Burdwan Station Stampede: ফুট ওভারব্রিজে দিয়ে নামা-ওঠার সময় পদপিষ্ট হতে হয় বহু যাত্রীকে। আহতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ। জি আর পি ও স্টেশন পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বর্ধমান: ফের বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্ট, ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি, আহত ৭। বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামা-ওঠার সিঁড়িতে হুড়োহুড়ি। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস। কর্ড লাইনে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হাওড়া-বর্ধমান যাওয়ার ট্রেন। আচমকা হাওড়া-বর্ধমান যাওয়ার ট্রেনটিকে মেন লাইনে করে দেওয়ায় বিপত্তি দেখা দেয়। ফুট ওভারব্রিজে দিয়ে নামা-ওঠার সময় পদপিষ্ট হতে হয় বহু যাত্রীকে। আহতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ। জি আর পি ও স্টেশন পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের আপাতত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে সেখানে। রবিবার সন্ধেয় বর্ধমান স্টেশনের ৪, ৬, ৭ নম্বর প্ল্য়াটফর্মে তিনটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। সিঁড়ি দিয়ে যাত্রীরা দ্রুত সেই ট্রেন ধরার জন্য় নামতে থাকেন। কিন্তু সিঁড়িটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় ভিড় বাড়তে থাকে, যা সামাল দেওয়া চাপের হয়ে দাঁড়ায়। তাড়াহুড়োয় উল্টে পড়ে যান অনেকে। রেলের উদ্ধারকারী দল ও জি আর পি দৌড়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে বর্ধমান স্টেশনে বিপত্তি হয়েছিল। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল সেবার বর্ধমান স্টেশনের একাংশ। স্টেশনে প্রবেশ পথের সামনে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল সেবর ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে থাকার আশঙ্কা কম। পরে এই বিষয় নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে ধ্বংসস্তুপের নীচে কেউ আটকে ছিলেন না।ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারীরা। ঘটনার দিন রাত আটটা নাগাদ বর্ধমান স্টেশন ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কয়েকজন আঘাত পান। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে যে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এই ঘটনার পরই আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। অফিস ফেরত সময়ে স্টেশনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। তাই আতঙ্ক আরও বাড়ে। রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
এই ঘটনার পর বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছিল। সেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পরে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে এস্কেলেটর বসানো হয়েছিল। যদিও এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছাড়া বাকি প্ল্যাটফর্মের এস্কেলেটরগুলো প্রায় অচল। যার জন্যই এদিন সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে এই ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে আরও সতর্কতা নেওয়া হবে ভবিষ্যতে।























