Murshidabad News:বাস উল্টে আহত সাত, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার কুমড়োদাহ ঘাট সংলগ্ন এলাকার ঘটনা
Bus Accident:বাস উল্টে আহত সাত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার কুমড়োদাহ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। আহতদের বহরমপুর মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বাস উল্টে আহত সাত (Injured In Bus Accident)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার কুমড়োদাহ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ (berhampore medical college) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়।
কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, কন্যাযাত্রী ভর্তি বাসটি নওদার গোঘাটা থেকে বহরমপুর চুনেখালি নিমতলা বাড়ি ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হরিহরপাড়ার কুমড়োদাহ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় উল্টে যায়। রং সাইডে গিয়ে পরপর তিনটি দোকান ভেঙে নিয়ে উল্টে পড়ে রাজ্য সড়কের উপরে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন সাত জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। গাড়ির চালক ও খালাসি পলাতক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার হাওড়ায় বেপরোয়া গাড়ির বলি হয়েছেন এক গৃহবধূ।
হাওড়ায় 'বলি' গৃহবধূ...
ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ছটা। এলাকারই টোটোচালক সুমন সাহা প্রতি দিনের মতো তাঁর টোটোয় করে স্ত্রী সুপ্রিয়া ও ছেলেকে নিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকা পেছন থেকে প্রচণ্ড গতিতে এক বিলাসবহুল চার চাকা গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ধাক্কার অভিঘাতে টোটোটি উল্টে যায়। ছিটকে পড়েন তিনজন। দ্রুত তাঁদের বেলুড় জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সুপ্রিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পরেই তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় এলাকায়। বাসিন্দাদের দাবি, কয়েকটি উচ্ছৃঙ্খল যুবক ওই এলাকার অপরিসর রাস্তা দিয়ে প্রায়শই প্রবল বেগে গাড়ি চালান। গাড়ির মধ্যে প্রচণ্ড জোরে সাউন্ড বক্সও বাজে। কোনও আপত্তিই কানে তোলেন না তাঁরা। বার বার বলা সত্ত্বেও সংযত হননি বলে অভিযোগ। তারই ফল স্বরূপ আজকে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের। এর পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘাতক গাড়ি-সহ চালক অবশ্য পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বস্তুত, রাজ্যের নানা প্রান্তে দুর্ঘটনার খবর একেবারে বিরল নয়। আর তার জেরে প্রায়ই মর্মান্তিক পরিণতির খবর শোনা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছুর পরও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের? আমজনতার তরফেও কি কোনও গাফিলতি থাকছে? কোনও না কোনও মর্মান্তিক পরিণতির পরই প্রশ্নগুলি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, তার পর আবার হারিয়ে যায়। এর শেষ কোথায়?
আরও পড়ুন:১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ডে অবশেষে অব্যাহতি অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর