Doctor Transfer Controversy: রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ, চিকিৎসকদের পোস্টিং মামলার শুনানি হাইকোর্টেই
Calcutta High Court: খারিজ হয়ে গেল এই মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা SAT-এর কাছে পাঠানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আর্জি।

কলকাতা: প্রতিবাদী চিকিৎসকদের পোস্টিং মামলায় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। স্যাটে নয়, অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়াদের আবেদনের শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই। রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আর জি কর আন্দোলনের অন্য়তম মুখ ৩ ডাক্তারের পোস্টিং মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। খারিজ হয়ে গেল এই মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা SAT-এর কাছে পাঠানো নিয়ে রাজ্য সরকারের আর্জি। অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া, দেবাশিস হালদারের পোস্টিং মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই, জানিয়ে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মামলাকারী ডাক্তারদের অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের সময় দেবাশিস হালদারকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছিল। মেধাতালিকা বেরোলে দেখা যায়, পোস্টিং অর্ডারে তাঁর নাম রয়েছে মালদার গাজোলে সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে। আসফাকুল্লা নাইয়ার ক্ষেত্রেও কাউন্সেলিংয়ের সময় ছিল আরামবাগ মেডিক্য়াল কলেজের নাম। পোস্টিং অর্ডারে তা বদলে হয়েছে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো হাসপাতাল। কাউন্সেলিংয়ের সময় ফার্স্ট ইয়ার সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে অনিকেত মাহাতোর নাম ছিল আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে। পোস্টিং অর্ডারে সেই জায়গা বদলে হয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজ।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৩ চিকিৎসক। অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া, দেবাশিস হালদারের এই পোস্টিং বিতর্কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা SAT-এর কাছে এই মামলা পাঠানো হোক। রাজ্য সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, এই ধরনের মামলায় রাজ্যের অবস্থান গ্রহণযোগ্য নয়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট আগেও নিজের অবস্থান জানিয়েছে। পাশাপাশি, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের মামলায় আপত্তি জানানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। তাহলে আদালতের মূল্যবান সময় বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি বসু।
পাশাপাশি পোস্টিং বিতর্কে অন্যতম মামলাকারী ডাক্তার অনিকেত মাহাতো প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। অনিকেত মাহাতো বলেন, "আমাদের ৩ জুনিয়র ডাক্তারের পোস্টিং সংক্রান্ত যে সমস্যা ছিল, সেই সমস্যা নিয়ে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এই একটা জায়গায় এক্তিয়ারের পয়েন্টে আমাদের আন্দোলনের প্রথম জয় বলেই আমরা মনে করছি। আমরা বারবার যে কথাটা বলেছিলাম, যে আমাদের সঙ্গে পোস্টিং নিয়ে অন্যায় হচ্ছে, SR-রা রুটিন বদলির মতো, একসঙ্গে দেখলে সঠিক হবে না, আদালতও আজকে সেই কথাটাকেই সিলমোহর দিয়েছে।''























