Job Scam : নবম দশমের নিয়োগ সুপারিশপত্র বাতিলে এখনই স্থগিতাদেশ নয়, জানালেন বিচারপতি বসু
Calcutta High Court : 'এসএসসি ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তার ওপর এখনই কোন স্থগিতাদেশ নয়', নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি, আদালতে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : নবম দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিলের ওপর এখনই কোন স্থগিতাদেশ দেব না, জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। 'এসএসসি ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তার ওপর এখনই কোন স্থগিতাদেশ নয়', নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি, আদালতে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
নবম-দশম মামলায় গতকালই রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই গতকাল ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করে কমিশন (SSC)। আজ নতুন করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান ৯৫২ জনের একাংশ। যদিও দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি বসু।
আগে কী হয়েছে:
এর আগে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন নবম ও দশমের ওই ৯৫২ জন শিক্ষক। আগেরদিনই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর কোন স্থগিতাদেশ নয়। মামলা ফেরত পাঠানো হয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চে। তার সঙ্গে ১৩ জন শিক্ষককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানি ছিল, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানিয়ে দেয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করছে না ডিভিশন বেঞ্চ। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করে, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩! হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ৯৫২টি OMR শিট প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সব OMR শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি, একসপ্তাহের মধ্যে এঁদের সুপারিশ পত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ১৩ জন শিক্ষককে যুক্ত করতে হবে মামলায়। শুনানি হবে সিঙ্গল বেঞ্চেই। তারপরে ফের আজ নতুন করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান ৯৫২ জনের একাংশ। যদিও দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি বসু।
ইতিমধ্যেই নবম-দশম শিক্ষক পদে ওই ৯৫২ জনের মধ্যে, ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় কাটমানি না দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি? অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে