Ram Navami Violence: রামনবমীতে হিংসা, অশান্তি নিয়ে মামলা শুভেন্দুর, NIA তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: এ নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামনবমীতে হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ (Ram Navami Violence)। নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি. এস. শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এনআইএ-কে সমস্ত নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ (Calcutta High Court)। এ নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
রামনবমীতে অশান্তির ঘটনায় তদন্তে NIA
এখনও পর্যন্ত নির্দেশনামার বিশদ নথি আসেনি। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, রামনবমীতে যে অশান্তি ঘটেছিল, তার তদন্ত করবে এনআইএ। রাজ্য পুলিশের তরফে সব তথ্য এবং নথি তুলে দিতে হবে এনআইএ-র হাতে। মূলত এই মামলায় শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় পর পর যে অশান্তি হয়, তা সিবিআই বা এনআইএ, বা দুই সংস্থাকেই যৌথ ভাবে তদন্তের ভার দেওয়া হোক। দীর্ঘ দিন সেই নিয়ে শুনানি চলছিল। বিচারপর্ব চলেছে। দু'পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল জবাব করছিলেন এতদিন। তবে রায়দান স্থগিত ছিল। বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে এই মামলার তদন্তভার আপাতত সিবিআই-কে নয়, এনআইএ-কে দেওয়া হল। মামলা দায়ের হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আগেই জানিয়েছিলেন যে, গোটা ঘটনায় যাঁরা প্ররোচনা জুগিয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যাঁরা উস্কানি জুগিয়েছেন এবং তা থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন, সকলকে খুঁজে বার করতে হবে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। শোভাযাত্রা এবং মিছিলে অনুমোদনের ক্ষেত্রে গাইডলাইন মানা হয়েছিল কিনা, কী কী হওয়া উচিত ছিল, তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘মিথ্যা মামলা দিয়েছে CBI, আসানসোলে ফিরতে দিন’, আদালতে কাতর আর্জি অনুব্রতর
এ ব্যাপারে রাজ্যের তিন জেলার পুলিশের তরফে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। তাতে গন্ডগোল, তার জন্য় কারা দায়ী, কী কী ঘটেছিল, কারা যুক্ত ছিলেন, তার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়। রামনবমীর অশান্তিতে রেল পরিষেবা আটকে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তার যৌক্তিতকতা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।
শুভেন্দুর দায়ের করা মামলায় রায় আদালতের
সবমিলিয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, গত কয়েক বছরে এমন মিছিল এবং শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে অশান্তি, হিংসা, ইট ছোড়ার মতো ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাল্টা আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, মিছিল এবং শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হলেও, কার্যক্ষেত্রে সময়ের পার্থক্য ছিল। কারা অশান্তির জন্য দায়ী হতে পারেন, তা নিয়ে রাজ্যের তরফেও তথ্য পেশ করা হয়। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই, জানানো হয় আদালতে। শোভাযাত্রায় পরিকল্পকিত ভাবে আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে, তার কারণ খুঁজে বের করার কথাও বলে রাজ্য।