Bishnupur Case: ১০ দিন পরও গ্রেফতার নেই! ঢিলেঢালা মনোভাব পুলিশের! বিষ্ণুপুর গণধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কোর্টের
Calcutta High Court:মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত।
কলকাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur Case) গণধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। অভিযোগ দায়েরের পর ১০ দিন কেটে গেলেও, এখনও একজনও গ্রেফতার হল না কেন, প্রশ্ন তুলল আদালত। পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাব দেখে আদালত যন্ত্রণাবিদ্ধ বলে মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্যাতিতাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দিলেন তিনি (Justice Rajasekhar Mantha)।
১০ দিন কেটে গেলেও, এখনও একজনও গ্রেফতার হল না কেন, প্রশ্ন তুলল আদালত
মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি মান্থা বলেন, "অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও কেন গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? এখনও কেউ গ্রেফতার হল ন! এটা হচ্ছেটা কী?" বিচারপতি আরও বলেন, "পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাব দেখে যন্ত্রণাবিদ্ধ আদালত।" (Bishnupur Physical Assault Case)
মহিলা পুলিশ না থাকাকে এ দিন অজুহাত বলেও দাগিয়ে দেয় আদালত। বিচারপতি বলেন, "মহিলা কনস্টেবল নেই কেন? এই অজুহাতে জিডি করে ফেলে রেখেছেন। ১০ দিন পরও পোশাক বাজেয়াপ্ত হল না কেন? কেন বাজেয়াপ্ত করা হল না মোবাইল ফোন? আপনারা তো পুরো ব্যবস্থা ভেঙে দেবেন?"
আরও পড়ুন: Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক, রাত থেকে শহরে মৃত্যু ৫ শিশুর, বাদ গেল না ছ’মাস বয়সিও
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্যাতিতাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদানের জন্যও এ দিন নির্দেশ দেন বিচারপতি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই বয়, বিষ্ণুপুর থানার ভূমিকাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিহলা কনস্টেবল ছিলেন কিনা, কেন এফআইআর দায়েরে দেরি, খতিয়ে দেখতে হবে তা-ও।
তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্যাতিতাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ
এ দিন বিচারপতি জানিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি ঠিক পথে চলছে কিনা, তাতে নজরদারি থাকবে উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারিকের। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এ নিয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গোটা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আর পুলিশের নজরদারিতেই তা ঘটছে। ১০ দিন পরও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা গেল না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনিও।