Municipial Recruitment Scam : পুরসভায় নিয়োগ 'দুর্নীতি' মামলার তদন্তে CBI নাকি পুলিশ ? জট খুলবে হাইকোর্টে
Calcutta High Court : স্কুলে এবং পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় ? প্রশ্ন আদালতের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : স্কুলে এবং পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়? আজ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Municipal recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় এই প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী। সোমবার, ফের এই মামলার শুনানি হবে। এদিকে, তদন্ত কে করবে, CBI নাকি পুলিশ (Police) ? তা ওই দিন জানা যেতে পারে।
পুরসভায় নিয়োগ 'দুর্নীতি' মামলার তদন্ত কে করবে ? CBI ? নাকি পুলিশ ? সোমবার, তা জানা যেতে পারে। কলকাতা থেকে জেলা, বিভিন্ন পুরসভা থেকে সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অফিস। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের মূলে পৌঁছতে বুধবার দেড়-ডজনের বেশি জায়গায়, ম্যারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ নথি। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালত CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছিল যে, আর্থিক দুর্নীতির সব দিক খতিয়ে দেখবে CBI। নতুন করে কোনও দিক উন্মোচিত হলে, সেটাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
CBI তদন্তের নির্দেশের ওপর সুপ্রিমকোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। এখন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অয়ন শীলের যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগের OMR এবং পুরসভায় নিয়োগের OMR অয়ন শীলের সংস্থা থেকেই গেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করে বলেন যে, তাহলে, এই দুই দুর্নীতি কি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় ? এই দুই দুর্নীতির তদন্ত কি একত্রে হওয়া উচিত নয় ? এই পরিস্থিতিতে, শিক্ষায় এবং পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকে কি আদৌ আলাদা করা সম্ভব ? এই দুই দুর্নীতিকে যদি আলাদা আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে হয়, তাহলে সেটা কিভাবে সম্ভব হবে ?
যদি, আলাদা করা সম্ভব হয়, তখনই এই প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাহলে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কে করবে? রাজ্য না CBI ? উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, পুরসভার মামলা শোনার এক্তিয়ার কি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছিল? সেটাই মূল প্রশ্ন। শুধু দুর্নীতি হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে বলে মামলা CBI-কে দেওয়া যায় না। সুপ্রিমকোর্ট CBI-এর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল। ED হঠাৎ করে, কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল কেন ? কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কি প্রয়োজন পড়ল ? ED-র কাছ থেকে কেউ কি রিপোর্ট চেয়েছিল ?
আদালতে চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বলেন, আর্থিক তছরুপের তদন্তে সুপ্রিমকোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। সুপ্রিমকোর্ট CBI-এর থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দিলেও, ED-র থেকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, সুপ্রিমকোর্টে কমপক্ষে ৮টি স্পেশাল লিভ পিটিশন বা SLP করা হয়েছে। কোনও মামলায়, তদন্তের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ সুপ্রিমকোর্ট দেয়নি। মানুষের করের টাকা নষ্ট করে রাজ্য কেন পুরসভাগুলিকে আড়াল করতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে ? তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কাল যদি ED এসে বলে যে পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতি হয়েছে, তাহলে তার তদন্ত কে করবে ? তখন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বলেন, ED করবে। একই মামলায়, নতুন কোনও দিক উন্মোচিত হলে, তার তদন্ত আগের তদন্তকারী সংস্থাই করবে।
আরও পড়ুন- বঙ্গে বর্ষা এল বলে, উত্তরবঙ্গে শুরু প্রাক বর্ষার বৃষ্টি
তখন ED-র আইনজীবী বলেন, সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। পুনর্বিবেচনার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়া যায় না। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে রাজ্য স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন গৃহীত হয়নি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেছে। ৩রা জুলাই, তার শুনানি রয়েছে।