Anubrata Mondal: দিল্লি হাইকোর্টে গরুপাচার মামলা, ফের পিছোল অনুব্রত-শুনানি
Cattle Smuggling Case: অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত রয়েছে। আরও সময় চেয়েছেন তিনি।
বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছোল গরুপাচার মামলার শুনানি (Cattle Smuggling Case)। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে শুনানি পিছোল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত রয়েছে। আরও সময় চেয়েছেন তিনি। সেই মর্মে আদালেত আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তার পরই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। অনুব্রতকে নিয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ অক্টোবর।
অনুব্রতকে নিয়ে পরবর্তী শুনানি ১৮ অক্টোবর
অনুব্রতর এবারের পুজোও জেলে কাটবে বলেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাঁর অনুগামীদের মনে। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও পুজোর সময় জেলেই থাকতে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার জামিনের আবেদনের শুনানি চার মাস পিছিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এবছরের পুজোটা তিহাড় জেলের ছ'নম্বর সেলেই কাটাতে হবে তাঁকে।
গরুপাচার মামলায়, গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। প্রথমে বাংলাতেই ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু তিনি প্রভাবশালী, মামলার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আদালতে যুক্তি দেখান তদন্তকারীরা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষ মেশ দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় অনুব্রতর। তাঁর কন্যা সুকন্যাও সেখানেি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: আবারও খারিজ জামিনের আর্জি, এবার জেলে গিয়ে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় CBI
দীর্ঘ সময় দরে জেলে থাকায়, বীরভূমেও অনুব্রতর মাটি ক্রমশ আলগা হচ্ছে বলে দাবি উঠে আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। অতি সম্প্রতিই নানুরের হোসেনপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হয় অনুব্রতর ছবি। এই ঘটনার নেপথ্যে কাজল শেখের হাত দেখছিলেন অনেকে। যদিও, তা মানতে চাননি কাজল-ঘনিষ্ঠরা। সেই নিয়ে কটাক্ষ উড়ে আসে বিজেপি-র তরফেও। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে, এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু!'
এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি অনুব্রত
শুধুমাত্র অনুব্রত বা সুকন্যাই নন, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও জেলে রয়েছেন। একাধিক বার খারিজ হয়েছে তাঁর জামিনের আর্জিও। গরু পাচারের টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সায়গল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। অভিযোগ, সায়গল নিজের প্রভাব খাটিয়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিলেন। পাচারের টাকা থেকে সায়গল লাভবান হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।