Post Poll Violence: 'তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন বহু অভিযুক্ত..', ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের তৎপর CBI
CB On Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেছেন বহু অভিযুক্ত, লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তৎপর সিবিআই..
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ( Lok Sabha election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় গোটা দেশ। আর লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক মামলায় জেরবার শাসকদল। ঠিক এমনই একসময় ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence ) ফের তৎপর হল সিবিআই (CBI)।
'যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেছেন বহু অভিযুক্ত..'
ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারিয়েছিল একাধিক, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল অহরহ। আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্তে নামে CBI। তারপর কেটে গেছে আড়াই বছর। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেছেন বহু অভিযুক্ত। একাধিক পরিবার এখনও পায়নি সুবিচার। বারাসাতের নবপল্লিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায়, আজ এক অভিযুক্তের সাথে কথা বলে CBI। এরপর CBI-এর তরফ থেকে একটি চিঠি ধরানো হয় তাঁকে। তার আগে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন CBI আধিকারিকরা।
কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে
একুশের ভোটের ফল ঘোষণার দিন, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির এই কার্যকর্তার 'হত্যাকাণ্ডে'-র অভিযোগে সক্রিয়ভাবে তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। যদিও তারপরেও কম জলঘোলা হয়নি।হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। একুশের সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন-মারধর-হুমকি- লুঠপাট -সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে, বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেসময় তাঁর নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তবে সেবার শুধু অভিজিৎ সরকারই নয় শুধু, আরও একাধিক মায়ের কোল ফাঁকা হয়েছিল একুশের প্রেক্ষাপটে।
আরও পড়ুন, 'আমাকে ওরা মার্ডার করে দিত' নিশুতি রাতে অভিযোগকারিনীর বাড়িতেই 'পুলিশের পোশাকে হামলা'
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পরিবারের উপরেও হামলার অভিযোগ
একুশের ভোট পরবর্তী মামলায় উঠে এসেছিল ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অভিযোগ। কোথাও ছিল সরাসরি খুনের অভিযোগ। কোনও ক্ষেত্রে হয়তো বেধড়ক মারধরের কয়েকমাস পর মৃত্যুতেও উঠেছিল খুনের অভিযোগ। এমন পার্টি অফিসে হামলা থেকে শুরু করে আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পরিবারের উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল।বিশেষ করে ডায়মন্ডহারবারে প্রাণ বাঁচাতে অসংখ্য বিজেপি নেতা ঘর ছাড়া হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেবার ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যে এসে খুনের ভয়াবহতা ও পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।