Chandranath Singh: জেল না কি বেল? আজ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-র ভাগ্য নির্ধারণ
SSC Scam: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের দাবি ED-র।

কলকাতা: জেল নাকি বেল? কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ-র ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। তার আগে গতকাল বীরভূমের কিষাণ মাণ্ডিতে হানা দিল ED। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর নামে কত জমি রয়েছে? কীভাবে সেই জমি কেনা হয়েছিল? কত সালে কেনা হয়? কী চাষ হয় জমিতে? সেখান থেকে আয়ের পরিমাণ কত? সূত্রের দাবি, তদন্তের মাধ্যমে ED অফিসাররা এসব জানার চেষ্টা করছেন।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে। চার্জশিটে প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেআইনি আর্থিক লেনদেনের দাবি ED-র। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তাঁর জমি সংক্রান্ত নতুন তথ্য় পেশ করে ED। সেখানে ED-র আইনজীবী জানান, বোলপুরের জমির ব্য়াপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় রয়েছে। তারপরই গতকাল বীরভূমের পাইকর কিষাণ মান্ডিতে পৌঁছে গেল ED। নগদে বিপুল লেনদেনের উৎস হিসেবে চন্দ্রনাথ সিংহ চাষবাসের উল্লেখ করেছেন। সেই জমি তিনি কখনও নিজের, কখনও পরিবারের, এমনকী দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের নামেও দেখিয়েছেন।
কারামন্ত্রীর শুনানির আগে ED-র তল্লাশি। গোটা বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর আগে ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন মদন মিত্র, শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কী আছে কারামন্ত্রীর ভাগ্য়ে? ED-র চার্জশিটে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে সামনে এসেছে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ। চার্জশিটের ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইনকাম ডিসক্লোজার স্কিম প্রকল্পে, চন্দ্রনাথ সিংহ প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখান। ফলে তাঁর জরিমানার অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, জরিমানার এই ৯০ টাকা তিনি ইন্ডিয়ান ব্য়াঙ্কের একটি অ্য়াকাউন্ট থেকে ইনকাম ট্য়াক্স ডিপার্টমেন্টকে মিটিয়ে দেন। এই ৯০ লক্ষ টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন? চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, জরিমানা হিসেবে মেটানো এই ৯০ লক্ষ টাকা তিনি পেয়েছিলেন জমির দালালি করে। যা তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর ইনকাম ট্য়াক্স রিটার্নে দেখানো হয়। এও কারামন্ত্রী জানান, সেবছরের ইনকাম ট্য়াক্স রিটার্ন ফাইলে তিনি এই ৯০ লক্ষ টাকা দেখাননি। উল্লেখ ED-র চার্জশিটে। চন্দ্রনাথ সিংহর পরিবারের আয়কর রিটার্ন ফাইল নিয়ে আরও চাঞ্চল্য়কর তথ্য় সামনে এসেছে ED-র চার্জশিটে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্য়ে নগদ জমা নিয়ে স্ত্রী-র আয়কর রিটার্ন ফাইলে মিথ্য়ে তথ্য় দেন চন্দ্রনাথ সিংহ। এটা আর কিছুই নয়, অযোগ্য়দের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে যে টাকা তোলা হয়েছিল তা লুকনোর চেষ্টা।
চার্জশিটে ED আরও দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডল লিখিত বয়ানে জানান, চন্দ্রনাথ সিংহ অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা তাঁদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। চার্জশিটে ED-র তরফে দাবি করা হয়, ১৫৯ জন অযোগ্য প্রার্থীর নামের একটি তালিকা ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল। ED সূত্রে দাবি, চন্দ্রনাথ সিংহ ওই ১৫৯ জনের থেকে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে চন্দ্রনাথ সিংহ, তাঁর স্ত্রী কুন্তলা সিংহ ও দুই ছেলের নামে থাকা আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন হয়।






















