Coochbehar: গতি পেল শীতলকুচিতে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে পুকুর খনন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সিআইডি তদন্ত
Coochbehar News: পঞ্চায়েতে দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে, কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পে গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR দায়ের। সম্প্রতি নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকা গেছে জেলাশাসকদের কাছে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পঞ্চায়েতে দুর্নীতি (Panchayat Corruption) নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেই কোচবিহারের (Coochbehar) শীতলকুচিতে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে পুকুর খনন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সিআইডি তদন্ত (CID Investigation) গতি পেল। তদন্ত শুরুর ৮ বছর পর ৪০ জন উপভোক্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা (political tussle)।
‘দুর্নীতি’ তদন্তে তৎপর সিআইডি
পঞ্চায়েতে দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে, কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পে গরমিল ধরা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করতে হবে। সম্প্রতি নবান্ন থেকে এমনই নির্দেশিকা পাঠানো হয় জেলাশাসকদের কাছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই কোচবিহারের শীতলকুচিতে, পঞ্চায়েতের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ফের তৎপর হল CID।
২০১৪ সালে শীতলকুচির ছোটশালবাড়িতে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, পুকুর খনন না করেই ভুয়ো বিল দেখিয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়। ভুয়ো বিলে ৩১টি পুকুর খননের উল্লেখ করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়ায় প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক ও তৃণমূল নেতার।
শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির উপভোক্তা ও অভিযোগকারী লায়লি বিবির কথায়, 'কাজ করেছিলাম কিন্তু টাকা পাইনি।' ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান আনোয়ারা বিবি বলেন, '২০১৪ সালে কাজ হয়েছিল। সিআইডি তদন্ত হচ্ছ। পুকুর খনন করিয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি। আমাদের পঞ্চায়েত থেকে কাজ হয়নি।'
৮ বছর আগে ঘটনার তদন্ত শুরু করে CID। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথম দিকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারপর আর তদন্তের অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে, শুক্রবার প্রায় ৪০ জন উপভোক্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির গোয়েন্দারা।
কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, 'নেতা মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে। বেগতিক দেখে তদন্তে গতি এসেছে। দুর্নীতিবাজ বহাল তবিয়তে আছে।' স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে, কয়লা-গরু পাচারের অভিযোগে, তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। অন্যদিকে পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে তৎপর হল CID।
দিন দুই আগে ফের ১০০ দিনের কাজ নিয়েই অভিযোগ ওঠে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ঘটনা। ওই এলাকায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ করেছে খোদ তৃণমূল। সেই অভিযোগে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরাই।
এর আগে একাধিক এলাকায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অনেকসময়েই নিশানায় থেকেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। এবারও একই অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরকারি কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। কিন্তু বিরোধীরা নয়, সেই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদেরই তরফে। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরাও। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগেই এমন অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।