Siren Test: যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মহড়ার-প্রস্তুতি, কলকাতার সাইরেনগুলি খতিয়ে দেখল সিভিল ডিফেন্স
Mock Drill: দেশজুড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মহড়ার-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় মঙ্গলবার গোটা দেশে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে বাজাতে হবে সাইরেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় আগামীকাল দেশে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার সাইরেনগুলি (Siren Test) খতিয়ে দেখল সিভিল ডিফেন্স।
দেশজুড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মহড়ার-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় মঙ্গলবার গোটা দেশে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭১ সালের পর প্রথবার দেশজুড়ে বিমান হানার সতর্কতার সঙ্কেত হিসাবে বাজবে সাইরেন। সূত্রের খবর, কলকাতার পুরসভার ৩৪ থেকে ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ২৫টি সাইরেন রয়েছে। তার মধ্যে একটি রয়েছে মহাজাতি সদনের ছাদে। ১৯৭১ সালে বসানো হয় সাইরেনটি। ৮৯-৯১ সাল পর্যন্ত নানা কারণে কখনও সখনও বেজেছে। তারপর আর তার আওয়াজ কেউ শোনেনি। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে আবার চেষ্টা হচ্ছে তার ঘুম ভাঙানোর। এদিন সেই সাইরেনটি পরীক্ষা করে সিভিল ডিফেন্স। কলকাতার পাশাপাশি, হাওড়ার বালি শান্তিরাম স্কুল এবং শিবপুরের দিনবন্ধু স্কুলের ছাদে বসানো ছিল সাইরেন। ছিল সাইরেন কন্ট্রোল রুম।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মক ড্রিল নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। সেই বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ থেকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। নবান্ন থেকে যোগ দেন, সিভিল ডিফেন্সের ডিজি জগমোহন, সিভিল ডিফেন্সের প্রধান সচিব রাজেশ সিন্হা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের নির্দেশ- বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য, পাশাপাশি রয়েছে নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। তাই এ রাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নিজের মতো করে সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে মোট ৯৫টি সাইরেন রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫-৩০ টি করে। জেলা সদরে রয়েছে একটি করে। রাজ্যের হাতে রয়েছে ৬২ টি স্যাটেলাইট ফোন। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকে সাইরেনগুলি ব্যবহার করা হবে। মহড়া চলবে ৭ দিন। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হবে না, তবে নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই অংশ নিতে হবে। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যায়। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কোন কোন জায়গায় মক ড্রিল হবে, তা চিহ্নিত করে জেলাশাসকরা সিভিল ডিফেন্সকে জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে বুধবারের মক ড্রিলকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে,
- প্রথম হল হাইলি সেনসিটিভ এরিয়া, অর্থাৎ সেতু, বিমানবন্দর, এয়ারস্টিপ, সেনা ঘাঁটি প্রভৃতি
- দ্বিতীয় ভাগে রাখা হয়েছে তেল, গ্যাসের মতো পাইপ লাইন রয়েছে যে সব এলাকায়
- তৃতীয় ভাগে রয়েছে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা






















