Coal Scam Case: বয়ানে অসঙ্গতি, কয়লাকাণ্ডে ফের নোটিস ইডি-র, মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব
Coal Scam Case: এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে তলব করা হয় মলয়কে। প্রথম দু’বার হাজিরা না দিলেও, অক্টোবর মাসে তৃতীয় বারের বার তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেন তিনি।
কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam Case) রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) ফের নোটিস এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate/ED)-এর। কয়লাকাণ্ডে দিল্লির সদর দফতরে আইনমন্ত্রীকে তলব করা হল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে মলয় ঘটককে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে মলয়ের বয়ানের সঙ্গে অন্যদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। তাই ফের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে তলব করা হয় মলয়কে। প্রথম দু’বার হাজিরা না দিলেও, অক্টোবর মাসে তৃতীয় বারের বার তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেন তিনি। সেখানে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করে ইডি। কয়লা মাফিয়াদের (Coal Mafia) সম্পর্কে তাঁর কাছে কী তথ্য রয়েছে, অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মলয় যে জবাব দেন, তা রেকর্ডও করে ইডি। কিন্তু মামলায় অভিযুক্ত বাকিদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মলয়ের বয়ান মিলছে না বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের।
২০২০ সালে অনুপ মাজি ওরফে লালা, দুই জিএম এবং ইসিএল-এর তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে আসানসোল এবং সংলগ্ন এলাকার পরিত্যক্ত খনিগুলিতে অবৈধ খননকার্য চালানো, চুরি এবং কয়লা চোরাচালানের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তভার ওঠে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-র হাতে। দেশ জুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। লালার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রথমে লালার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুণে থেকে গ্রেফতার হন লালা।
আরও পড়ুন: BJP : "বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন", একহাত অমিতাভকেও; সুর চড়ালেন জয়প্রকাশ-রীতেশ
এর পর গত বছর এই মামলার তদন্তে যোগ দেয় ইডি-ও। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় তল্লাশি চালানো হয়। পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রের হদিশ মিলেছে বলে জানায় তারা। তাতেই জেরার জন্য ডাক পড়ে মলয়ের। এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ তথা দলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) নামও উঠে আসে। দিল্লিতে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেন অভিষেক। কিন্তু সশরীরে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেননি রুজিরা।