Indian Army Vs Bangladesh Army : মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ভারত সামরিকশক্তিতে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে ১০ গোল দেবে বাংলাদেশকে?
সত্যিই কি বাংলাদেশের এই তর্জন-গর্জন ভারতের কাছে ভয়ের ? কী বলছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা ?
কলকাতা : বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে ইসলামিক কট্টরপন্থী নেতা, ভারত-বিদ্বেষ আবহে, এতদিন যুদ্ধের জিগির তুলছিলেন অনেকেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কও এখন প্রশ্নের মুখে। খোলাখুলি ভারত বিদ্বেষী বার্তা, ঘৃণার উদ্গীরন ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হবে, ভারতের বিরুদ্ধে এমনও হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে BNP-র স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাকে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের মতো পাকিস্তানের মৌলবাদীদেরও আজগুবি হুমকি-হুঁশিয়ারি চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হয়ে গেল আসল যুদ্ধের মহড়াও। একইসঙ্গে যুদ্ধের হুঙ্কার শোনা গেল ইউনূসের মুখেও। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ? সত্যিই কি বাংলাদেশের এই তর্জন-গর্জন ভারতের কাছে ভয়ের ? কী বলছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা ? ব্রিগেডিয়ার আশিস দত্ত ও প্রবীর স্যান্যাল মনে করছেন, বাংলাদেশ কোনও অংশেই ভারতের সমকক্ষ নয় । তাই বাংলাদেশকে নিয়ে ভয় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
রবিবার রাজবাড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক বিগ্রেড গ্রুপের যুদ্ধের মহড়া খতিয়ে দেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। অংশ নিয়েছিলেন সে দেশের তিন বাহিনীর প্রধানও। যে কোনও দেশের অধিকার রয়েছে যুদ্ধের মহড়া দেওয়া। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যুদ্ধের মহড়া কি সত্যিই কোনও নতুন ইঙ্গিত? ভারত কি এবার নতুন কোনও বার্তা দেবে?
এটা স্পষ্ট সামরিক দিক থেকে ভারতের ধারেকাছেও আসে না বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার-জওয়ান সহ সক্রিয় সদস্য়ের সংখ্য়া ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার। সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ১ লক্ষ ৬৩ হাজার। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কাছে মোট ২ হাজার ২৯৬টি এয়ারক্রাফট আছে। সেখানে বাংলাদেশের ২১৬টি। ভারত পরমাণুশক্তিধর দেশ, বাংলাদেশ এখনও সেই ক্ষমতা অর্জন করে উঠতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধগিজির তোলা কতটা যুক্তিযুক্ত?
ইউনুস সরকার জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরই, বাংলাদেশের মাটিতে বসে পাকিস্তানের হাত শক্ত করতে এবং ভারত বিরোধিতা আরও জোরালো করতে, কাশ্মীর নিয়ে আহ্বান দিতে শোনা গেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লা বাংলার প্রধানকে। তাহলে কী বাংলাদেশকে পেছন থেকে যুদ্ধ-শক্তি জোগাচ্ছে অন্য কেউ ? পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। তাহলে কি ' নতুন বন্ধু ' পাকিস্তানের ভরসাতেই যুদ্ধ জিগির জেগে উঠেছে বাংলাদেশের ?
আরও পড়ুন : চিনে বাড়বাড়ন্তের মাঝেই, ভারতে প্রথম HMPV আক্রান্ত ৮ মাসের শিশু